পাতা:কাশীনাথ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৫

SEo कांौनांथ দুইবেলা কমলা প্ৰাৰ্থনা করিত ঠাকুর ওঁর মনটি আমাকে ধরিয়ে দাও । সময়ে সময়ে মনে করিত, বোধ হয় মনই নাই, তাই ধরিতে পারি না। কমলার নিকট তাহার স্বামী একটি জটিল রহস্য বলিয়া মনে হইত ; যত দিন যাইতে লাগিল, উদ্ভেদের পন্থা পাওয়া দূরে যাক, তত অধিক জটিল বলিয়া মনে হইত। কখনও সে ভাবিত, স্বামীর এত অধিক ভালবাসা বোধ হয় কোনও স্ত্রী কখনও লাভ করে নাই ; কখনও মনে হইত এত দারুণ উপেক্ষাও বোধ হয়। কখন কাহাকেও ভোগ করিতে হয় নাই। তথাপি কমলার দিন কাটিতে লাগিল ; শুধু কাটে না কাশীনাথের ; পুথিতেও আর মন বসে না, চুপ করিয়া বসিয়া থাকিতেও বিরক্ত বোধ হয়, কথা-বাৰ্ত্ত আমোদ-আহলাদেও প্ৰবৃত্তি হয় না । আমন হৃষ্ট-পুষ্ট শরীর কৃশ হইতে লাগিল, আমন গৌরবর্ণকালো হইতে লাগিল। ক্ৰমশঃ ক্ষয় হইয়া আসিতেছে দেখিয়া কমলা কপালে করাঘাত করিল। পূর্বে সে প্ৰতিজ্ঞা করিয়াছিল, এ কথা। আর জিজ্ঞাসা করিবে না ; কিন্তু সে প্ৰতিজ্ঞা আর রক্ষা করা চলিল। না। স্বামী আসিলে তঁহার পায়ৈ লুটাইয়া পড়িয়া কঁাদিতে লাগিল। কাশীনাথ বিব্রত হইয়া কমলার হাত ধরিয়া তাহাকে তুলিবার চেষ্টা করিল, কিন্তু কিছুতেই পারিল না। কি হয়েছে, কঁাদিছ কেন ? কমলা কথা কহিল না ; বহুক্ষণ কঁাদিয়া কাটিয়া পায়ের উপর মুখ রাখিয়া কহিল, তুমি আমাকে একেবারে মেরে ফেল ; এমন একটু একটু ক’রে পুড়িও না। কাশীনাথ অত্যন্ত বিস্মিত হইল-কেন, করেছি কি ? তা কি তুমি জান না ? কৈ, কিছুই না। DBD D DBBDS DBDBDSDS DBDBB DDB BDDB BDD s এবার কাশীনাথ কমলাকে বুঝিতে পারিল, কাছে বাইয়া আদর করিয়া জিজ্ঞাসা করিল, কি হয়েছে, বেশ করে বুঝিয়ে বল দেখি। তুমি রোজ রোজ এমন হ’য়ে যাচ্ছে কেন