পাতা:কাশীনাথ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৫১

3. इब्रिछिद्र আশঙ্কায় শঙ্কান্বিত হইয়া বিষম ক্ৰোধে সুরবালার গণ্ডদ্বয় বিশেষ টিপিয়া ধরিয়াও তাহাকে দুধ খাওয়াইতে পারিতেন না, তখনও হরিদাসের কথায় অনেক ফল লাভ হইত। যাক, অনেক বাজে কথা বলিয়া ফেলিলাম। আসল কথাটা এখন বলি, শোন । না হয় সুরে হরিদাসকে ভালবাসিত। দুৰ্গাদাসবাবুর যখন কুড়ি বৎসর বয়স, তখনকার কথাই বলিতেছি। দুৰ্গাদাস এতদিন কলিকাতাতেই পড়িত। বাড়ী আসিতে হইলে ষ্টীমারে দক্ষিণ দিকে যাইতে হইত, তাহার পরেও প্ৰায় হাঁটা পথে দশ-বার ক্রোশ আসিতে হইত, সুতরাং পথটা বড় সহজগম্য ছিল না। এইজন্যই দুর্গাদাসবাবু বড় একটা বাড়ী शाछेडन भां । ছেলে বি-এ পাশ হইয়া বাড়ী আসিয়াছে।। "মাতাঠাকুরাণী অতিশয় ব্যস্ত । ছেলেকে ভাল করিয়া খাওয়াইতে দাওয়াইতে যত্ন আত্মীয়তা করিতে যেন বাটী-শুদ্ধ সকলেই একসঙ্গে উৎকষ্ঠিত হইয়া পড়িয়াছে। দুৰ্গাদাস জিজ্ঞাসা করিল, মা, এ ছেলেটি কে গা ? মা বলিলেন, এটি একজন কায়েতের ছেলে ; বাপ-মা নেই, তাই কৰ্ত্তা ওকে নিজে রেখেছেন । চাকরের কাজ-কৰ্ম্ম সমস্তই করে আর বড় শান্ত ; কোন কথাতেই রাগ করে না । আহা ! বাপ-মা নেইতাতে ছেলেমানুষ-আমি বড় ভালবাসি। বাড়ী আসিয়া দুর্গাদাসবাবু, হরিচরণের এই পরিচয় পাইলেন। যাহা হৌক, আজকাল হরিচরণের অনেক কাজ বাড়িয়া গিয়াছে। সে তাহাতে সন্তুষ্ট ভিন্ন অসন্তুষ্ট নহে। ছোটবাবুকে (দুর্গাদাসকে ) স্বান করান, দরকার মত জলের গাড়ু, ঠিক সময়ে পানের ডিবে, উপযুক্ত অবসরে হুক ইত্যাদি যোগাড় করিয়া রাখিতে হরিচরণ পেশ পটু ৷ দুৰ্গাদাসবাবুও প্ৰায় ভাবেন, ছেলেটি বেশ intelligent ! সুতরাং কাপড় কেঁচোন, তামাক সাজা প্ৰভৃতি কৰ্ম্ম হরিচরণ না করিলে দুর্গাদাসবাবুর পছন্দ হয় না। }