পাতা:কাশীনাথ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sa कामiथ কমলা মুখ তুলিয়া দেখিল স্বামীর মুখ বড় শুষ্ক ; কপালে হাত দিয়া দেখিল, গা গরম। তখন কঁাদিয়া স্বামীর কোলের উপর লুটাইয়া পড়িল ; লজ্জায় তাহার মরিতে ইচ্ছা হইল। কঁাদিতে কঁাদিতে বলিল, তুমি আমার দোষ ভুলে গিয়ে আর একবার আমাকে নাও, তোমার সব ভার আমাকে নিতে দাও ! আমি পারি, কিন্তু তুমি রাখতে পারবে কি ? কেন পারব না ? দেখি । আমাকে নাও । অনেক দিন নিয়েছি, কিন্তু বুঝতে পার না, এখনও হয়ত সব সময় ঠিক বুঝতে পারবে না। কমলা প্ৰদীপের আলোকে সে মুখ যতখানি পারিল, দেখিয়া লইল। একবার যেন মনে হইল, সে মুখে ছাইঢাকা অনেক আগুন আছে, মোম ঢাকা অনেক মধু আছে! মুহুর্তের জন্য তাহার আত্মবিস্মৃতি ঘটিল। সে পূর্ণাবেগে কহিয়া উঠিল, কেন তুমি এতদিন তোমাকে চিনতে দাও নি ? কেন এতদিন আমাকে লুকিয়ে রেখে আমাকে এত কষ্ট দিলে ? আনন্দের উছুাসে কমলা স্বামীর গলা জড়াইয়া ধরিল। কাশীনাথের চক্ষু দিয়াও সে দিন জল পড়িতে লাগিল । V পরদিন প্রিয়বাবু কাশীনাথকে ডাকিয়া পঠাইয়া কহিলেন, বাপু, আমি আর অধিকদিন বাঁচিব না ; আমার পুত্র নেই, বিষয়-আশয় যা কিছু রেখে যেতে পারলাম, তা সমস্তই তোমাদের রইল। যে কটা দিন বঁচি, তার মধ্যে সমস্ত বুঝে-সুজে নাওনা হ’লে কিছুই থাকবে না ; অপারে সমস্ত ফাকি দিয়ে নেবে। কাশীনাথ অবনত মস্তকে কহিল, আজ্ঞা করুন। প্রিয়বাবু বলিলেন, আজ্ঞা আঁর কি করুব! কাল হতে সকাল-বেলাটা একবার করে কাছারী ঘরে গিয়ে ব’স । 影 যে আজ্ঞে, বলিয়া কাশীনাথ প্ৰস্থান করিল। পিয়লান শব্দ