পাতা:কাশীনাথ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুরমা সর্বাভরণা নববধূকে জোর করিয়া তাহার পার্শ্বে বসাইয়া দেয়। সন্ধ্যা হইলেই বাহির হইতে কটু করিয়া তালা বন্ধ করিয়া দেয়। গালে হাত দিয়া যজ্ঞদত্ত ভাবিতে থাকে। বৌও কতক বুঝিতে পারে, সে সেয়ানা মেয়ে নয়, তবুও তা সে নারী ; সাধারণ স্ত্রী-বুদ্ধিটুকু হইতে ভগবান কাহাকেও বঞ্চিত করেন না। সেও সারা রাত্রি জাগিয়া থাকে। আজ আট দিনও বিবাহ হয় নাই, এরি মধ্যে যজ্ঞদত্ত একদিন প্ৰত্যুষে সুরমাকে ডাকিয়া কহিল, সুরে, বৰ্দ্ধমানে পিসিমাকে বৌ দেখিয়ে আনি। দামোদর পারে পিসিমার বাড়ী। সেখানে পৌছাইয়া যজ্ঞদত্ত কহিল, পিসিমা, বৌ এনেচি, দেখ। পিসিমা। ওমা বিয়ে করেছিস বুঝি, আহা বেঁচে থাক। দিবি চাদপান বৌ, এইবার মানুষের মত ঘর-সংসার করা। যজ্ঞ । সেই জন্যেই তা সুরো জোর করে বিয়ে দিলে। পিসিমা ! সুরো বুঝি বিয়ে দিয়েছে ? যজ্ঞ। সেই তা দিলে, কিন্তু কপাল মন্দ-বেী নিয়ে ঘর করা 5 = } পিসিমা । কেন রে ? যজ্ঞ। জান ত পিসিমা আমার নির গণ, বৌয়ের হ’ল রাক্ষস গণ । একসঙ্গে থাকলে গণৎকার বলে। বঁচি না বঁচি । পিসিমা । ষাট ষাট সে কথাযজ্ঞ । তখন তাড়াতাড়ি এ সব দেখা হয় নি, এখন ওঁ তোমার কাছে থাকবে, মাসে পঞ্চাশ টাকা ক’রে পাঠাব, তাতে চলবে ना त्रिनिभा ? পিসিমা । হাঁ তা চলে যাবে। পাড়াগায়ে, বিশেষ কষ্ট হবে না । আহা, চাদের মত মেয়ে, ডাগর হয়েছে, হঁ্যারে যজ্ঞ, একটা শান্তি-স্বাস্ত্যয়ন করলে হয় না ? যজ্ঞ । হ’তে পারে । আমি ভট্টাচাৰ্যর মত নিয়ে যা ভাল হয় তোমাকে জানাব। পিসিমা । তা জানাস বাছা।