পাতা:কাশীনাথ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

49 ख्यांच्या ४e ङ् সন্ধ্যার সময় বৌকে কাছে ডাকিয়া যজ্ঞদত্ত কহিল, তবে তুমি এইখানেই থাক। সে ঘাড় নাড়িয়া বলিল, আচ্ছা - যা তোমার যখন দরকার হবে আমাকে জানিয়ো। -আচ্ছ। -তুমি চিঠি লিখতে জান ?--না।—তবে কি করে জানাবে ? নববধূ গৃহপালিতা হরিণীর মত চক্ষু-দুটি স্বামীর মুখের উপর চুপ করিয়া রহিল। যজ্ঞদত্ত মুখ ফিরাইয়া চলিয়া গেল। পিসির বাটীতে বৌ ভোরে উঠিয়া কাজ করিতে লাগিল। বসিয়া থাকিতে সে শিখে নাই, নতুন লোক হইলেও সে পরিচিতের মত ঘর-কান্নার কাজ করিতে সুরু করিল। দুই-চার দিনেই পিসিমা বুঝিলেন, এমন মেয়ে সবাই গর্ভে-ধরে না। বৌয়ের অনেক গহনা, পাড়াশুদ্ধ বেঁটিয়ে লোক তা দেখিতে আসে।-কে দিয়েছে গা ? তোমার বাপ ?--না, বাপ মা আমার নাই, ঠাকুরবি দিয়েছেন। দু-একজন সমবয়সীর সহিত ভাব হইলে তাহারা খুটিয়া খুটিয়া কথা বাহির করিবার চেষ্টা করিতে লাগিল। তোমার ঠাকুরবি বুঝি খুব বড় লোক ?- হঁ্যা !—সব গহনা তারি ? --সব । তঁর দরকার নেই, তিনি বিধবা, এসব পরেন না।--কত বয়স বৌ ?—আমাদের চেয়ে কিছু বড়। তিনি জোর করে আমার সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন।--তোমার বর বুঝি তার খুব আনুগত ?-হঁ, তিনি সতীলক্ষ্মী, সবাই তাকে ভালবাসে। N উপরের জানালা হইতে সুরমা দেখিল, যজ্ঞদত্ত বাড়ী ফিরিয়া আসিল কিন্তু সঙ্গে বৌ নাই। ঘরে প্রবেশ করিয়া কহিল, যজ্ঞদাদা, বেীকে কোথায় রেখে এলে ? পিসির বাড়ী। সঙ্গে আনলে না কেন ? থাক কিছুদিন, পরে আনলেই হবে। কথাটা সুরমার বুকে বিধিল । দুই জনেই চুপ করিয়া রহিল।