পাতা:কাশী-খন্ড - নিবারণচন্দ্র দাস.pdf/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 Ffes / (7ęfiły warfą সপ্তবিংশ অধ্যায় । ത്ത്-- शंत्र शशि-वर्थन ७ भिंट्रल ८छांद्ध । স্কন্দ কহিলেন, সেই ক্ষেত্রের নাম বারাণসী এবং আনন্দকানন কেন হইল, তদ্বিষয়ে দেবদেব যেরূপ বলিয়াছিলেন ; আমি তাহা কহিতেছি। ১ । ঈশ্বর কহিলেন, হে ত্ৰৈলোক্য-সুন্দাব । মহাবাহো বিষ্ণে । অবিমুক্তক্ষেত্র যেরূপে “বারাণসী৷” এই নাম প্রাপ্ত হইয়াছে, তাহ৷ শ্রবণ করুন। সূৰ্য্যবংশে সমুৎপন্ন, পরম ধাৰ্ম্মিক ও মহাতেজস্ব ভগীরথ নামক বাজা কপিলের ক্ৰোধাগ্নির দ্বারা স্বীয় পূর্বপুরুষ সগৰ নৃপতির তনয়গণের দগ্ধবৃত্তান্ত শ্রবণ করিয়া, তঁহাদের উদ্ধারের নিমিত্ত গঙ্গার আরাধনা করিতে ইচ্ছা করত তপস্যায় কৃতনিশ্চয় হইয়া, অমাত্যের উপর রাজ্যভার ন্যস্ত করত, পর্বতশ্রেষ্ঠ হিমালয়ে গমন করিলেন। ২-৫। হে লিষ্ণো ! যাহারা ব্ৰহ্মশাপাগ্নিতে দগ্ধ হয় এবং যাহারা মহাদুৰ্গতিগ্ৰস্ত, গঙ্গা ব্যতীত আর কে তাহাদিগকে উদ্ধার করিয়া স্বগে লইতে পাবে ? সেই মঙ্গলময়ী জর্লরূপ গঙ্গা আমারই মূৰ্ত্তি। তিনিই সমস্ত ব্ৰহ্মাণ্ডের আধারভুত পরমাপ্রকৃতি, তিনিই শুদ্ধবিদ্যাস্বরূপ, তিনিই ত্ৰিশক্তিরূপিণী ও করুণাময়ী, তিনিই আনন্দামুতরূপা এবং শুদ্ধধৰ্ম্মস্বরূপিণী। সমস্ত বিশ্বের রক্ষার জন্য, ব্ৰহ্মস্বরূপিণী এই র্যাহাকে, আমি অবলীলাক্রমে ধারণ করিতেছি। ৬-৯ । হে বিষ্ণে । ত্ৰৈলোক্য মধ্যে যে সমস্ত তীর্থ, যে সমস্ত পুণ্যক্ষেত্র, যে সমস্ত ধৰ্ম্ম আছে, তৎসমুদয় এবং দক্ষিণার সহিত সমস্ত যজ্ঞ, তপঃসমূহ, সাঙ্গ-চতুৰ্বিবধ-বেদ, তুমি, আমি, ব্ৰহ্মা, সমস্ত দেবগণ, সর্বপ্রকার পুরুষাৰ্থ এবং বিবিধশক্তি, ইহঁরা সকলেই সূক্ষমরূপে গঙ্গাতে অবস্থিত আছেন। ১০-১২ । যে ব্যক্তি গঙ্গাস্নান করে, সে সমস্ত তীর্থ স্নানের, সমস্ত যজ্ঞানুষ্ঠানের এবং সমস্ত ব্ৰত উদযাপনের ফল লাভ করিয়া থাকে, এবং তাহার সমস্ত তপস্যার, সর্বপ্রকার দানের ও সমস্ত যোগ ও নিয়মের ফল লাভ হয়। যে ব্যক্তি গঙ্গাস্নায়ী, সেই ব্যক্তি সমস্ত বৰ্ণাশ্ৰম, সমস্ত বেদবিদ, এবং সমস্ত শাস্ত্ৰপারদর্শীগণ অপেক্ষাও শ্রেষ্ঠ। বহুবিধ মানসিক, বাচিক ও কায়িক দোষসমূহের দ্বারা দুষিত ব্যক্তিও, গঙ্গার দর্শন মাত্রে পবিত্ৰতা লাভ করে, ইহাতে কোন সন্দেহ নাই।। ১৩-১৬। সত্যযুগে সর্বত্রই তীর্থ, ত্রেতাযুগে পুষ্করই একমাত্র তীর্থ, দ্বাপরযুগে কুরুক্ষেত্রই একমাত্র- তীর্থ এবং কলিযুগে গঙ্গাই