পাতা:কাশী-খন্ড - নিবারণচন্দ্র দাস.pdf/৩৫৮

&ც e কাশীখণ্ড । [ চতুশ্চম্বাৱিংশ অধ্যায় চতুশ্চত্ত্বরিৎশ অধ্যায়। 一杀一 Cif-ef에 স্কন্দ কহিলেন, মন্দর পর্বতের গুহামধ্যস্থিত অত্যুজ্জ্বল কান্তিময় রত্নরাজির অসাধারণ রশ্মিনি করে সমুদ্ভাসিত, অনন্তসুরগণনিষেবিত, অতি সমুচ্চ মন্দিরে বিরাজমান দেবদেব ; অৰ্দ্ধচন্দ্ৰভাসিত ভালদশে মহেশ্বর, কাশী বিরহে কোন প্রকারেই শান্তিলাভ করিতে পারিলেন না, কাশী বিয়োগজরে তিনি সর্বদা ব্যাকুলিত হইতে লাগিলেন। ১-২। বিরানিলের তীব্ৰ সন্তাপ হইতে নিষ্কৃতি লাভের জন্য তিনি সর্বদাই শরীরে চন্দনপঙ্ক লেপন করিতে লাগিলেন ; কিন্তু সেই সাদ্রীকৃত অদ্রিচন্দন তাহার শরীর তাপে ধূলির ন্যায় শুষ্ক হইতে লাগিল। ৩। বিরহানলশান্তির নিমিত্ত মহেশ্বর অতি শীতল ও কোমল পদ্মিনী মৃণালদল নিজ হস্তে কঙ্কণের ন্যায় ধারণা করিলেন, কিন্তু তাহতে তাহার তাপ শান্ত না হইয়া বরং উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাইতে লাগিল; ইহা দেখিয়া খেদপূর্বক সেই সকল মৃণালনিবাহকে “ইহা মৃণাল নয়। কিন্তু সপ” এই বলিয়া যে আক্ষেপ করিতে লাগিলেন তাহাতে বাস্তবিক সেই মৃণালনিচয় সর্পরূপ ধারণ করত। অধুনা ও তাঁহার হস্তে সৰ্প কঙ্কণরূপে দেদীপ্যমান য়াহিয়াছে আহা । ঈশ্বরের ইচ্ছার কি প্রভাব ৷৷ ৪। দেবগণ দুগ্ধসমুদ্র মন্থন করিয়া, অতি কোমল ও শীতল পূৰ্ণচন্দ্ৰ উত্তোলন করিয়াছিলেন; কাশীবিরহকাতর মহাদেবের সন্তপ্ত ভালদেশ আশ্ৰয় করিয়া সেই পূৰ্ণচন্দ্ৰ কঠোর উত্তাপে সঙ্কুচিত শরীর হইয়া এখনও কলামাত্রেই অবশিষ্ট রহিয়াছে। ৫। কাশীবিরহবিধুর মহেশ্বর তাপশান্তির জন্য মন্তকে জটাসমূহুরূপ নিকুঞ্জের মধ্যে যে সুরধুনী ধারণ করিয়াছিলেন ; অস্থাপিও তেঁহাকে আশঙ্কাক্রমে পরিত্যাগ করিতে পারিতেছেন না। ৬। সেই দুরন্ত ও অতি মহান বারাণসী বিরহের বশীভুত হইয়া মহেশ্বর স্বকীয় তাদৃশ বিয়োগ-ব্যথাকে সর্বদাই এরূপ প্রচ্ছন্নভাবে রাখিতেন যে, उँाशंब्रि गङांशंड দেবগণ ও তাঁহার প্রকৃত অবস্থা অবগত হইতে পারিতেন। ৭। ইহা বড়ই বিস্ময়tািনক যে, ত্ৰিজগৎপত্তি মহাদে ব, কাশী বিয়োগকালে নিজেরই মূৰ্ত্তি বিশেষ সন্তাপময় অগ্নির দ্বারা নিজেই বিশেষরূপ ক্লেশ প্রাপ্ত হইতেছিলেন। ৮। " ৰে কলানিধির কলাৰায় মহাদেৰ নিজ ভালদেশ অলঙ্কাত করেন ; সেই চন্দ্ৰই সেই মহাদেবকে