পাতা:কাশী-খন্ড - নিবারণচন্দ্র দাস.pdf/৪২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8à8 কাশীখণ্ড । [ চতুঃপঞ্চাশত্তম অধ্যায় কল্যাণের একমাত্র কারণ বলিয়া আমার বোধ হইতেছে। আমি প্রতিদিনই ক্ষুধায় কাতর হইয়া, আহারলাভের প্রত্যাশায় এখান হইতে প্ৰয়াগ পৰ্য্যন্ত গমন করিয়া থাকি ; কিন্তু কোথায় কিছুই খাদ্যদ্রব্য লাভ করিতে পারি না। সকল দেশে প্ৰতি কাননেই ফলশালী বৃক্ষনিকর বিদ্যমান আছে। প্রতি ভূমিতে পদে পদে স্বচ্ছ জলপরিপূর্ণ জলাশয় সমূহও বৰ্ত্তমান আছে এবং সকল প্রাণিগণের সুলভ নানা প্ৰকার ভক্ষ্য ও পেয় দ্রব্য এই স্থানের মধ্যে পৰ্য্যাপ্তভাবে পাওয়া যায় বটে ; কিন্তু আমাদের এমতই দুরদৃষ্ট যে, এই সকল দ্রব্যানিচয় আমাদের নয়নগোচর হইবামাত্রই অতিদূরে সরিয়া যায়। হে মুনে । অন্ত দৈববালে আমি একজন কাপটিককে দেখিতে পাইয়া, ক্ষুধায় পরিপীড়িত হইয় তাহার নিকটে উপস্থিত হইলাম। “বলপূর্বক ইহাকে ধরিয়া ভক্ষণ করিব।” এই ভাবিয়া, ত্বরা সহকারে আমি যেমন তাহাকে ধরিতে যাইব, অমনি তাখার মুখপদ্ম হইতে সকল প্ৰকার বিল্পহারিণী শিবনামময়ী বাণী নিগতি হইল।। ৩৮-৪৭ । সেই শিবনাম স্মরণের প্রসাদে আমার পাপ মন্দীভূত হইল, তখন অনায়াসেই এই বারাণসীপুরীর মধ্যে প্রবেশ করিতে সমর্থ হইলাম। অনন্তর সেই কাপটিকের সহিত আমি এই অন্তগুহের সীমায় উপস্থিত হইয়াছি। এক্ষণে সেই কাপটিক অন্তঃপুরীমধ্যে প্ৰবেশ করিয়াছে, আমি এই স্থানে অবস্থান করিতেছি । ৪৮-৫০ । হে মুনে। আপনাকে বিলোকন করিয়া আমি নিজ আত্মাকে বড়ই গৌরবান্বিত জ্ঞান করিতেছি। হে কৃপালো। আপনি আমাকে এই সুদারুণ পিশাচ যোনি হইতে রক্ষা করুন। ৫১ ৷৷ এবপ্রকার প্রেতিবাক্য শ্রবণ করিয়া পরম কৃপাবান তপোধন বাল্মীকি মনে মনে এই প্রকার চিন্তা করিতে লাগিলেন যে, “হায় ! স্বার্থন্ধি উদ্যমকারী মনুষ্যগণকে ধিক থাকুক। পশু, পক্ষী ও মুগাদিগণও আপনি আপনি উদর ভরণ করিয়া থাকে। এ জগতে যে ব্যক্তি পরের জন্য উদ্যম করিয়া থাকে সেই ধন্য, ইহাতে BD DDD SDJDS BDDD KBDB BKDD BL BBDuDBD DBD BY নিজ অর্জিত তপস্যার বলে প্রেতিযোনি হইতে মুক্তি প্ৰদান করিব, ইহাতে কোন সংশয় নাই”। ৫৪। এই প্রকার বিবেচনা করিয়া সাধুশ্ৰেষ্ঠ সেই বাল্মীকি পিশাচকে কহিলেন, অরে পিশাচ । তুমি স্বীয় পাপক্ষয়ের জন্য এই বিমলোদকতীর্থে স্নান কর । * হে পিশাচ । এই তীর্থের প্রভাবে মহাদেব কপদীশ, ক্ষণ"কালের মধ্যে তোমার পাপ সকলকে বিনষ্ট করিবেন। ৫৫-৫৬। মুনির এবম্বিধ বাক্য শ্রবণ করিয়া সেই পিশাচ, প্ৰীতাত্মা হইয়া প্ৰসন্নচিত্ত সেই মুনিকে প্ৰণামপুর্বক কৃতাঞ্জলিপুটে কহিল যে, হে সত্তম। এই জলাশয়ে পানীয় গ্ৰহণ করিবার