পাতা:কাশী-খন্ড - নিবারণচন্দ্র দাস.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ave কাশীখণ্ড । [ भंग अथांब्र মুনি, প্ৰথম মাসে দিবসে একবাবমাত্ৰ আহার আরম্ভ করিলেন, অনন্তর দ্বিতীয় মাসে সমস্ত দিন উপবাসী থাকিয়া, রাত্ৰিতে আহার করিতে আরম্ভ কবিলেন। তৃতীয় মাসে ফাত্ৰিতে আহার এবং আহারের নিমিত্ত ভিক্ষাদি পরিত্যাগ করিয়া, বিনা প্রার্থনায় প্ৰাপ্ত অতি সামান্য অন্নোই জীবনযাত্র নির্বাহ করিতে লাগিলেন । এইরূপ তৃতীয় মাস গমন করিলে, চতুর্থ মাসে অন্নাহাব পরিত্যাগ করিলেন। ১১৮৷৷ °क्ष्मभान cकदन्नाभांड ट्रंथांशांद्र कविभ्र, ষষ্ঠ মাসে তাহাও পরিত্যাগকরতঃ শাক ও ফল আহার আরম্ভ করিলেন, এই প্ৰকাব ষষ্ঠমাস অতীত হইলে পর, বিশ্বানর মুষ্টিপরিমিত তিল আহারকাবতঃ সপ্তম মাস অতিবাহিত করিয়া, অষ্টমমাসে কেবল জলমাত্ৰ আহার কবিয়া, কঠোর তপস্যা আরম্ভ করিলেন। ১১৯ ৷ পঞ্চগব্যমাত্ৰ ভক্ষণ করিয়া নবম মাস অতিবাহিতকরতঃ বিশ্বানর, দশম মাসে চান্দ্ৰায়ণ-ব্ৰত করিলেন। এই প্রকারে একরূপ নিরাহারে দশম মাস অতিবাহিত করিয়া, তিনি একাদশ মাসে দিনান্তে কুশাগ্রভাগস্থ-জলমাত্ৰ পান করিয়া, দ্বাদশ মাসে সর্বপ্ৰকার অ্যাহারও পরিত্যাগ করতঃ কেবলমাত্ৰ পৰ্ণহারী হইয়া, অবস্থান করিতে লাগিলেন। ১২০ । , এই প্রকারে দ্বাদশমাস অতিবাহিত হইলে, ত্রয়োদশ মাসে এক দিবস প্রত্যুষে ভাগীরথী-জলে স্নানপূর্বক তপোধন বিশ্বানব বীবেশ্বরের মন্দিরে প্রবেশ কবিয়াই দেখিতে পাইলেন যে, সেই বীরেশ্বরলিঙ্গের মধ্যভাগে একটা অতি রমণীয়াকৃতি অষ্টবৰ্ষবয়স্ক বালক বিদ্যমান আছেন । বিশ্বােনর দেখিলেন। ঐ বালিকাকৃতি জ্যোতিৰ্ম্ময় মূৰ্ত্তির নয়ন আকৰ্ণবিস্তৃত, ওষ্ঠ ও অধর সুন্দর লোহিতবর্ণ, মনোহর পিঙ্গলবৰ্ণজটাকলাপে তাহার মস্তক বিভূষিত ও আনন। অতি মনোহর হাস্যচ্ছটায় বিমণ্ডিত, ঐ বালকের পরিধানে কোন বস্ত্র ছিল না, তিনি উলঙ্গ। বিশ্বানর আরও দেখিলেন যে, শৈশবকালোচিতবেশধারী অতি মনোহর সেই বালক, অবলীলাক্রমে হাস্যসহকারে, বেদসূক্তসমূহ পাঠ করিতেছেন। ১২১-১২৪ ৷৷ এই প্রকার অতি মুনোহরাকৃতি সেই শিশুমুৰ্ত্তিকে বিলোকন করিয়া, বিশ্বানর মুনির অঙ্গ রোমাঞ্চে কণ্টকিত হইল। অভূতপূৰ্ব আনন্দোদয়ে তাহার বাক্য জড়িত-প্ৰায় হইয়া গেল, তখন তিনি গদগদ ভাবে পুনঃ পুনঃ নমস্কার উচ্চারণকরতঃ সেই অভূতপূর্ব বালক-মুক্তর স্তুতি করিতে আরম্ভ করলেন। ১২৫ ৷৷ বিশ্বােনর কহিলেন, হে প্ৰভো | একমাত্র অদ্বিতীয়স্বরূপ সত্যসনাতন ব্ৰহ্মই বিদ্যমান আছেন, এই সংসারে নানারূপ বাহপদার্থের বাস্তবিক পরমার্থসত্ত্বা নাই, এক রুদ্রই এ জগতে অদ্বিতীয় পরমার্থ সৎ পদার্থ এবং রুন্দ্রিই আনন্দময় ব্ৰহ্মপদার্থ,