পাতা:কাহিনী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫০
কাহিনী

কল্যাণী


সব নিয়ে গেছে, কিছু নেই বাকি।

ক্ষীরো


অদৃষ্টে ছিল এত দুখ তোর!
গয়না যা ছিল হীরে-মুক্তোর,
সেই বড়ো বড়ো নীলার কণ্ঠি,
কানবালা-জোড়া বেড়ে গড়নটি,
সেই-যে চুনীর পাঁচনলি হার,
হীরে-দেওয়া সিথি লক্ষ টাকার—
সেগুলো নিয়েছে বুঝি লুটে-পুটে?

কল্যাণী


সব নিয়ে গেছে সৈন্যেরা জুটে।

ক্ষীরো


আহা, তাই বলে, ধনজনমান
পদ্মপত্রে জলের সমান!
দামি তৈজস ছিল যা পুরোনো
চিহ্নও তার নেই বুঝি কোনো?
সে কালের সব জিনিস-পত্র—
আসাসোটাগুলো, চামর-ছত্র,
চাঁদোয়া-কানাত, গেছে বুঝি সর?
শাস্ত্রে যে বলে ধনবৈভব
তড়িৎ-সমান, মিথ্যে সে নয়।
এখন তা হলে কোথা থাকা হয়?
বাড়িটা তো আছে?