পাতা:কাহিনী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কাহিনী
১১

আর কালান্তক যম,—শুধু পিতৃস্নেহ
আর বিধাতার শাপ—আর নহে কেহ।

(চরের প্রবেশ)

চর

মহারাজ, অগ্নিহােত্র, দেব উপাসনা,
ত্যাগ করি বিপ্রগণ, ছাড়ি সন্ধ্যার্চ্চনা,
দাঁড়ায়েছে চতুষ্পথে, পাণ্ডবের তরে
প্রতীক্ষিয়া;―পৌরগণ কেহ নাহি ঘরে,
পণ্যশালা রুদ্ধ সব; সন্ধ্যা হল তবু
ভৈরব মন্দির মাঝে নাহি বাজে প্রভু
শঙ্খঘণ্টা সন্ধ্যাভেরী, দীপ নাহি জ্বলে;―
শােকাতুর নরনারী সবে দলে দলে
চলিয়াছে নগরের সিংহদ্বার পানে
দীন বেশে সজল নয়নে।

দুর্য্যোধন

নাহি জানে,
জাগিয়াছে দুর্য্যোধন। মূঢ় ভাগ্যহীন!
ঘনায়ে এসেছে আজি তােদের দুর্দ্দিন।
রাজায় প্রজায় আজি হবে পরিচয়
ঘনিষ্ট কঠিন। দেখি কতদিন রয়
প্রজার পরম স্পর্দ্ধা,—নির্ব্বিষ সর্পের
ব্যর্থ ফণা-আস্ফালন,― নিরস্ত্র দর্পের
হুহুঙ্কার।