পাতা:কাহিনী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫২
কাহিনী

দস্যুবৃত্তি করি গেল। সে দারুণরাতে
হােমাগ্নি করিয়া স্পর্শ জীবাজির সাথে
প্রতিজ্ঞা করিনু আমি—দস্যুরক্তপাতে
লব এর প্রতিশোধ। বহুদিন পরে
হয়েছি সে পণমুক্ত। নিশীথ সমরে
জীবাজি ত্যজিয়া প্রাণ বীরের সদ্গতি
লভিয়াছে। রে বিধবা, সেই তাের পতি,―
দস্যু সে ত ধর্ম্মনাশী!

অমাবাই


ধিক্ পিতা, ধিক্!
বধেছ পতিরে মাের—আরো মর্ম্মান্তিক
এই মিথ্যা বাক্যশেল। তব ধর্ম্ম কাছে
পতিত হয়েছি, তবু মম ধর্ম্ম আছে।
সমুজ্জ্বল। পত্নী আমি, নহি সেবাদাসী।
বরমাল্যে বরেছিনু তাঁরে ভালবাসি
শ্রদ্ধাভরে; ধরেছিনু পতির সন্তান
গর্ভে মাের,―বলে করি নাই আত্মদান।
মনে আছে দুই পত্র একদিন রাতে
পেয়েছিনু অন্তঃপুরে গুপ্তদূতী হাতে।
তুমি লিখেছিলে শুধু,—“হান তারে ছুরি,”
মাতা লিখেছিল, “পত্রে বিষ দিনু পূরি
কর তাহা পান।” যদি বলে পরাজিত
অসহায় সতীধর্ম্ম কেহ কেড়ে নিত