পাতা:কিন্নর দল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

________________

সাপের ঘাড়ে পা দিলেই আমার ছাক্তারীলা অচিরাৎ সা করিতে হইবে, তাই ভাবিতেছি। অতি কষ্টে মকরন্দপুর পৌছিলাম রাত নয়টার সময়। সেক্রেটারী শ্ৰনাথ দাসের বাড়ীতেই রাত্রে আশ্রয় লইলাম। কিন্তু চাকুরি মিলিল , যাতায়াতই সার। পরদিন সকালে ঐনাথ দাস বলিল--এ মাসে নয়, আশ্বিন মাস থেকে ভাবছি পােক নেব। ইস্কুলের অবস্থা ভাল নয়। ডিষ্ট্রিক্টবোর্ডের সাহায্য আছে মাসে দশ আনা, সেইটিই ভরসা। ছাত্র বেতন মাসে ওঠে মোট তের সিকে। দুজন মাষ্টার ফি করে রাখি? তা আপনি আশ্বিন মাসের দিকে একবার শোক করবেন। গেল মিটিয়া। আশ্বিন মাস পর্যন্ত খাই কি যে পানখােলা ইউপি পাঠশালার দ্বিতীয় পণ্ডিতের পদের জন্য বসিয়া থাকিব। বেতন শুনিলাম পাঁচ টাকা হেভ পণ্ডিত পান নয় টাকা। | সারাদিন টিয়া আবার ফিরিলাম পলাশপুরে। সন্ধ্যা হইয়া গেল ফিরিতে। শরীর অত্যন্ত ক্লান্ত, পা টন টন করিতেছে। মুজিবর জিজ্ঞাসা করিল—কি হল ডাক্তারবাবু। তাহাকে সব বলিলাম, তারপর নিজের অন্ধকার খড়ের ঘরে ঢুকিয়া ভাঙা পণ্ঠনটা আলিলাম। নদীর ঘাট হইতে হাত-মুখ ধুইয়া আসিয়া মাদুরটা বিছাইয়া শুইয়া পড়িলাম। ক্ষুষ খুবই পাইয়াছিল, কিন্তু উঠিয়া রাখিবার উৎসাহ মােটেই ছিল না। গােটাকতক আম খাইয়া রাত্রি কাটিল। অন্ধকারে শুইয়া শুইয়া কত কথা ভাবি। একা একা কাটাইতে হয়, কথা বলিবার মানুষ পাই না, এই হইয়াছে সকলের চেয়ে কষ্ট। ইচ্ছা হয় স্ত্রীকে আমি কাছে রাখিতে। কতকাল তাহাকে দেখি নাই, তাহার একটু সেবা পাইতে সাধ হয়। এই সারাদিন খাটিয়া খুটিয়া আসিলাম, ইচ্ছা হয় কাছে বসিয়া একটু গল্প করুক, কুশ