পাতা:কিন্নর দল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S 0 to किबद्ध न গাছতলায় দুপুর বেলা সে বিশ্রাম করিতেছে-একটা ছেলে আসি। গলায় দড়ি বধিয়া তাহাকে লইয়া চলিল হঠাৎ । বুৰী তো অবাক! ছেলেটি তাহাকে একটি গ্রামের মধ্যে একটি খড়ের ঘরে-সেখানে লইয়া গিয়া খুটির গায়ে বঁধিল । বাড়ীতে তখন কেহ নাই-ছেলেটিও কোথায় চলিয়া গেল। বুধী লক্ষ্য করিল। একজন বৃদ্ধ স্ত্রীলোক ঘরের দাওয়ায় বসিয়া আপন মনে কি বকিতেছে, আর দুলিতেছে। বাড়ীর উঠানে একটি খেজুর গাছ, একটা পেয়ারা গাছ, বাড়ীর পেছনে একটা ডোবা । একটু পরে একটা বৌ ডোবা হইতে একরাশ বাসন মজিয়া আনিয়া দাওয়ার এক কোণে নামাইয়া বুদ্ধাকে বলিল-তুমি একটু চুপ করবে কি না। সকালবেলা, আমি জিগ্যেস করি। বাড়ীর সবাই পাগল, পাগলা গারদের মধ্যে থেকে আমার প্রাণ হঁাপিথে উঠোঁচে, আর পারিনে বাবু, মরণ হােলেও বঁচিতাম ! ফের তুমি যদি ওরকম বকবে মা, তবে হাঁড়ি কুড়ি থাকবে পড়ে, ভাতের পিণ্ডি কে খেতে দেয় দেখবো এখন আজগে ! এই সময় বুধীর দিকে নজর পড়িতে বৌটি বলিল-ছেলেটা বুঝি গরটিা এনেচে তা’ হোলে! বাবা ! কাল থেকে কি কম খোসামোদটা করচি ওকে ? গল্পটি হারালো দ্যাখ কোথাও কেউ পণ্টে পাঠালে, কি কেউ বেঁধে রাখলে-তা আমার কথা কি কেউ-গরুটারিও হাল হয়েচে দ্যাখে কথা বলিতে বলিতে তাহার সামনে আসিয়া বৌটি বলিয়া উঠিল-- এ তো আমাদের নয় !• • • • • • কার। আবার পরের গরু ধরে এনেচে দ্যাখো ! নাঃ, ছেলেটাকে নিয়ে আর পারি নে-এ যেন মনে হচ্চে ও পাড়ার ভুবনের মাের গরু-ম্যাগী এসে আমায় চৌদ্দপুরুষ উদ্ধার করবে: এখন, যদি টের পায় বৌটি তার গলার দড়ি খুলিয়া তাহাকে কিছু দূর তাড়াইয় উঠানের বাহির করিয়া দিল-সম্ভবতঃ এই জন্য যে, ভুবনের ম