পাতা:কিন্নর দল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

y 80 क्विव्र प्रत्र বেী। দেখা গেল তার রূপ সম্বন্ধে দু-মত নেই সত্যাদের মধ্যে, কিন্তু তার চরিত্র সম্বন্ধে নানারকম মন্তব্য অবাধে চলছে। -ধরণ-ধারণ যেন কেমন কেমন-অত সাজগোজ কেন রে বাপু ? —ভাল ঘরের মেয়ে নয়। দেখলেই বোঝা যায়- “ --বাসন মাজতে হোলে ও হাত আর বেশীদিন অতি সাদাও থাকবে না, নরমও থাকবে না-ঠ্যাল বুঝবেন পাড়াগাঁয়ের। গলায় লেকূলেস, ঝুলুতে আমরাও জানি --বেশ একটু ঠ্যাকারে। পাড়াগাঁয়ের মাটিতে যেন শুমরে পা পড়ছে না, এমনি ভাব। বামুনের ঘরে বিয়ে হয়ে ভাবছে যেন কি - --তা তো হবেই, বন্দির বামুনের মেয়ে, বামুনের ঘরে এয়েছে, ওর সাতপুরুষের সৌভাগ্যি না ? নববধূর স্বপক্ষে বল্পে-কেবল শাস্তি ও কমলা। শাস্তি ঝাঝের সঙ্গে বল্পে, তােমরা কারো ভালো দেখতে পার না, বাপু ! কেন ওসব বলবে। একজন ভন্দর ঘরের মেয়ের সম্বন্ধে ? কাল বিকেলে আমি গিয়ে কত কক্ষণ ছিলাম নতুন বৌয়ের কাছে। কোন ঠ্যাকার নেই, অংখার নেই, চমৎকার মেয়ে! কমলা বল্লে-আমাদের উঠতে দেয় না কিছুতেই-কত গল্প করলে, খাবার খেতে দিলে, চা করলে—আর খুব সাজগোজ কি করে ? সাদাসিদে শাড়ী সেমিজ পড়ে তো ছিল। তবে খুব ফন্স কাপড়চোপড়-ময়লা একেবারে দু'চোখে দেখতে পারে না শাস্তি বল্পে, ঘরগুলো এরই মধ্যে কি চমৎকার সাজিয়েছে! আয়না, পিকৃচার, দোপাটি ফুলের তোড়া বেঁধে ফুলদানিতে রেখে দিয়েছেশ্ৰীপতিদা’র বাপের জন্মে কখনো অমন সাজানো ঘরদোরে বাস করেনিভারী ফিটফাট গোছালো বৌটি দিন দুই পরে ডোবার ঘাটে নববধূকে একরাশ বাসন নিয়ে নামতে