পাতা:কিন্নর দল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

क्बिज्ञ प्रश्न y দেখে সকলে অবাক হয়ে গেল। চারিদিকে বনে ঘেরা ঝুপসি আধাঅন্ধকার ডোবাটা যেন মেয়েটির স্নিগ্ধ রূপের প্রভায় এক মুহূৰ্ত্তে আলো হয়ে ওঠে, একথা যারা তখন ডোবার অন্যান্য ঘাটুে ছিল, সবাই মনে মনে স্বীকার করলে। দৃশ্যটাও যেন অভিনব ঠেকৃলো সকলের কাছে, এমন একটা পচা এদো জঙ্গলে ভরা পাড়া গেয়ে ডোবার ঘাটে সাধারণতঃ কালোকোলো, আধা-ময়লা শাড়ীপরা শ্ৰীহীনা কি-বীে বা ত্রিকালোন্তীর্ণ প্ৰৌঢ়ী বিধবাদের গামছা পরিহিতা মূৰ্ত্তিই দেখা যায় বা দেখার আশা করা যায়—সেখানে এমন একটি আধুনিক ছাদে খোপা বাধা, ফল শাড়ী ব্লাউজ-পরা, রূপকথার রাজকুমারীয় মত রূপসী, নবযৌবনা বধু সজনেতলার ঘাটে বসে ছাই দিয়ে নিটােল সুগৌর হাতে বাসন মাজছে, এ দৃশ্যটা খাপ খায় না। সকলের কাছেই এটা খাপছাড়া বলে মনে হোল। প্রৌঢ়াৱাও ভেবে দেখলেন। গত বিশ-ত্রিশ বছরের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটেনি এই ক্ষুদ্র ডোবার ইতিহাসে। রায়পাড়ার একটি প্রৌঢ় বল্পেন-আ-হা, বৌ তো নয়, যেন পিরাতিমে --কিন্তু অত রূপ নিয়ে কি এই ডোবায় নামে বাসন মাজতে ! না। ওহাতে কখনো ছাই দিয়ে বাসন মাজ অভ্যোস আছে! হাত দেখেই বুঝেছি। তারপর থেকে দেখা গেল ঘরসংসারের যা কিছু কাজ শ্ৰীপতির বে। সব নিজের হাতে করাচে। ইতিমধ্যে শ্ৰীপতির কলকাতায় বদলি হবার খবর আসতে সে চলে গেল বাড়ী থেকে। পাড়ার মেয়েদের মধ্যে শান্তি ও কমলা শ্ৰীপতির বৌয়ের বড় ন্যাওটো হয়ে পড়লো। সকাল নেই বিকেল নেই, সব সময়েই দেখা যায় শান্তি ও কমলা বসে আছে ওখানে । পাড়াগায়ের গরীব ঘরের মেয়ে, আমন আদর করে কেউ কখনো রোজ রোজ ওদের লুচি হালুয়া খেতে দেয় নি।