পাতা:কিন্নর দল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

निद्र प्रल »ée বাজালে অমন কখনো শুনিনি-শুনবে তোমরা ? তা হোলে এখন বলি বাজাতে-বিল্লেই বাজাবে। শান্তি শ্ৰীপতিদের বাড়ী চলে যাবার অল্প পরেই শোনা গেল শ্ৰীপতির বৌয়ের এস্রাজ ব্যাজনা। অনেকক্ষণ কারো মুখে কথা রইল না। চকুত্তি গিল্পী বল্লেন-আহা, বড় চমৎকার বাজায় তো ! সকলেই স্বীকার করলে শ্ৰীপতির বৌকে আগে যা ভাবা গিয়েছিল, সে-রকম নয়, বেশ মেয়েট। এস্রাজ বাজনার মধ্যে দিয়ে পাড়ার সকলের সঙ্গে শ্ৰীপতির বৌয়ের সহজ ভাবে আলাপ পরিচয় জমে উঠলো। দুপুরে, সন্ধ্যায় প্রায়ই সবাই যায় শ্ৰীপতিদের বাড়ী বাজনা শুনতে। তারপর গান শুনলো সবাই একদিন। পূর্ণিমার রাত্রে জোৎস্নাভিরা ভেতর বাড়ীর রোয়াকে বসে বেী এস্রাজ বাজাচ্ছিল, পাড়ার সব মেয়েই এসে জুটেচে। শ্ৰীপতি বাড়ী নেই। কমলা বল্পে - আজ বৌদি একটা গান গাইতেই হবে।--তুমি গাইতেও জানো ঠিক-শোনাও আজগে বৌটি হেসে বল্লে-কে বলেচে। ঠাকুরঝি যে আমি গাইতে জানি ? = না, ওসব রাখো-গাও একটাসকলেই অনুরোধ করলে। বল্পে-গাও বৌমা, এ পাড়ায় মানুষ নেই, আস্তে আস্তে গাও, কেউ শুনবে না শ্ৰীপতির বেী একখানা মীরার ভজন গাইলে। রাণাজি, ম্যয় গিরধর কে ঘর র্যাহু গিরধর মহারা সাচাে প্রিতম দেখত রূপ লুভীউ। গায়িকার চোখে মুখে কি ভক্তিপূর্ণ তন্ময়তার শোভা ফুটে উঠলো গানখানা গাইতে গাইতে-শাস্তি একটা গন্ধরাজ আর টগরের মালা গেঁথে এনেছিল বৌদিকেই পর্যাবে বলে- গান গাইবার সময়ে সে