পাতা:কিন্নর দল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s किन्नत शब्ल আবার সেটা বৌয়ের গলায় আলগোছে পরিয়ে দিলে—সেই জ্যোৎস্নায় সাদা সুগন্ধি ফুলের মালা গলায় রূপসী বৌয়ের মুখে ভজন শুনতে শুনতে মন্টর মার মনে হলো এই মেয়েটিই সেই মীরাবাই, অনেককাল পরে পৃথিবীতে আবার নেমে এসেছে, আবার সবাইকে ভক্তির গান গাইয়ে শোনাচ্ছে। r মন্টর মা একটু একটু বাইরের খবর রাখতেন, যাত্রায় একবার মীরাবাই পালা দেখেছিলেন তঁর বাপের বাড়ীর দেশে। তারপর আর একখানা হিন্দীগান গাইলে বৌ, এরা অবশ্যি কিছু বুঝলেন না। তবে তন্ময় হয়ে শুনলেন বটে। তারপর একখানা বেহাগ । বাংলা গান এবার । সকলে শুয়ে পড়লো- শাস্তির চোখ দিয়ে জল পড়তে লাগলো । অনেকে দেখলে বৌয়েরও চোখ দিয়ে জল পড়ছে গান গাইতে গাইতে-রূপসী গায়িকা একেবারে যেন বাহ্যজ্ঞান ভুলে গিয়েছে গানে তন্ময় হয়ে। সেদিন থেকেই সকলে শ্ৰীপতির বেীকে অন্য চোখে দেখতে লাগলো । ওর সম্বন্ধে ক্ৰমে উচ্চধারণা করতে সকলে বাধ্য হোল আরও নানা ঘটনায়। পাড়াগাঁয়ে সকলেই বেশ হুইসিয়ার, একথা আগেই বলেছি। ধার দিয়ে-সে। যদি এক খুচি চাল কি দু পলা তেলও হয়-তার জন্যে দশবার তাগাদ করতে এদের বাধে না । কিন্তু দেখা গেল। শ্ৰীপতির বৌ সম্পূর্ণ দিলাদরিয়া মেজাজের মেয়ে। দেবার বেলায় সে কখনও না বলে কাউকে ফেরায় না, যদি জিনিষটা তার কাছে থাকে। একেবারে মুক্তহস্ত সে বিষয়ে কিন্তু আদায় করতে জানে না, তাগাদ করতে জানে না, মুখে তার রাগ নেই, বিরক্তি নেই, হাসিমুখ ছাড়া তার কেউ কখনো দেখে নি। শ্ৰীপতির বৌয়ের আপনপর জ্ঞান নেই, এটাও সবাই দেখলে। পাশের বাড়ীতে চকুক্তি গিল্পী বিধবা, একাদশীর দিন দুপুরে তিনি নিজের