পাতা:কিন্নর দল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

》8心 किबद्ध नि সবাই জেনেছে। তার দিন নেই, রাত নেই, গান লেগে আছে, দুপুরে রাত্রে রোজ এস্রাজ বাজায়। গান সম্বন্ধে কথা সর্বদা তরে মুখে। স্তির এখনও বিয়ে হয়নি, যদিও সে কমলার বয়সী। সে শ্ৰীপতির বৌয়ের কাছে আজকাল দিনরাত লেগে থাকে গান শিখবার জন্তে । একদিন শ্ৰীপতির বেী তাকে বল্পে-ভাই শাস্তি, এক কাজ করবি, সত্ৰাজিৎপুরে তো যাত্রা হবে বলে সবাই নেচেছে। আমাদের পাড়ার মেয়েরা তো আর তা দেখতে পাবে না ? তারা কি আর অপর গায়ে যাবে যাত্রা শুনতে ? অথচ এরা কখনো কিছু শোনে না-আহা ! এদের জন্যে যদি আমরা আমাদের পাড়াতেই থিয়েটার করি ? শান্তি তো অবাকৃ! থিয়েটার । তাদের এই গায়ে ? থিয়েটার জিনিষটার নাম শুনেছে বটে সে, কিন্তু কখনো দেখেনি। বল্লে-কি করে করবে। বৌদি, কি যে তুমি বলে ! তুমি একটা পাগল! শ্ৰীপতির বে। হেসে বল্লে-সে সব বন্দোবস্ত আমি করবো এখন। তোকে ভেবে মরতে হবে না--স্যাখ না কি করি। সপ্তাহখানেক পরে শ্ৰীপতি যেমন শনিবারের দিম বাড়ী আসে তেমনি এল। সঙ্গে তিনটি বড় মেয়ে ও দুটা ছোট মেয়ে ও চার পাঁচটি, ছেলে। বড় মেয়ে তিনটির যোল, সতেরো এমনি বয়েস, সকলেই ভারী সুন্দরী, ছোট মেয়ে দুটির মধ্যে যেটির বয়েস বছর তেরো, সেট তত সুবিধে নয়। কিন্তু যেটির বয়েস আন্দাজ দশ-তাকে দেখে রক্ত মাংসের জীব বলে মনে হয় না, মনে হয় যেন মোমের পুতুল। ছেলেদের বয়েস পনেরোর বেশী নয় কারো । সকলেই সুবেশ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। শাস্তি, শান্তির মা এবং চক্কত্তি গিনী তখন সেইখানেই উপস্থিত ছিলেন। শ্ৰীপতির বেী ওদের দেখে ছুটে গেল রোয়াক থেকে উঠোনে নেমে। উচ্ছসিত আনন্দের সুরে বল্পে-এই যে রামা, পিন্ট, তারা, এই