পাতা:কিন্নর দল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

________________

কির দল নকফুলে কাহারও বাড়ী জল চাহিয়া খাইলেই হইত। এদিকে শুধুই মাঠ, নিকটে আর কোন গ্রামও তো নজরে পড়ে না। পুনরায় পথ হাঁটিতে লাগিলাম। পথে সবই চালের গাঁ পড়িতে লাগিল। ব্রাহ্মণ মানুষ, যেখানে সেখানে তো গুল খাইতে পারি না। দরপুর, চাতরা, নলদি, মামুদপুর তারপরই পড়িল অর একটা মাঠ। বেলা তখন দুপুর ঘুরিয়া গিয়াছে। কিছু খাইতে পাইলে ভালই হইত-~~-পেট আলিয়া উঠিল। অাপাততঃ জল খাইলেও চলিত। ডিষ্ট্রিক্ট বাের্ড কি ছাই এ দিকে কোথাও একটা টিউবওয়েলও করিয়া দেয় নাই কোন গ্রামে। মাঠের মধ্যে কোথাও কি একটা পুকুর নাই? | মেটেরাস্তায় হাঁটি। যখন নীর ধারে পেীছিলাম, তখন সন্ধ্যা হইয়া গি।ছে। পৌছিয়া দেখি খেয়াঘাট কচুড়িপানায় খুঁজিয়া গিয়াছে, খেয়ার নৌকাখানি ডুবানো অবস্থায় এপারে বাধা। কোনও প্রার্থী কি বিপদ! এখন পার হওয়ার কি করি? নিকটে একটা চাষা গ। সেখানে। খোঁজ লইয়া জানিলাম. কচুড়িপানায় ঘাট যুজিয়া যাওয়ায় সেখানকার খেয়া আঞ্জ মাসখানেক যাবৎ ব। আরও ক্রোশখানেক উজানে খালিশপুরের ঘাটে খেয়া পড়িতেছে। | এই অবস্থায় মাঠ ভাঙিয়া এক ক্লোশ নদীর ধারে ধারে খালিশপুর পর্যন্ত যাওয়া তো দেখিতেছি বড় কষ্ট! পুনরায় জিজ্ঞাসা কড়িয়া জানিলাম—পোয়াটাক পথ গিয়া একটা বড় শিমুলগাছের নীচে নদী টিয়া পার হওয়া যায় । অন্ধকারে আধ মাইল হাঁটিয়া নধীর পারে একটা শিমুল গাছ দেখা গেল বটে, কিন্তু জা সেখানে বিশেষ কম বলিয়া মনে হইল । অলে তো নামিলাম, জল ক্রমে হাঁটুর উপর ছাড়াইয়া কোয়ে