পাতা:কিন্নর দল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

किबद्ध जल ь» “না-ভাই দেৱী কোরো না একটুও। ভালো ডাক্তার দেখাও। যে দিন কাল পড়েছে।--ফেলে রাখা একটুও উচিত নয়।” ও চলে গেল। ওর গলার স্বর ঈষৎ কম্পিত হোল-আমি বেশ বুঝতে পারলুম। “আমি স্ত্রীকে বল্লুম, “এ মিথ্যে বলে কি লাভ ?” “তুমি থামো দিকি।” সুতরাং আমি নীরব হই। আর স্ত্রী বলে চলে, “পঞ্চাশ দিন বলুছি বাড়ী বদল কর, বাড়ী বদল কর। সে কথা যদি शं शुश्च ।।' তার পরের দিন দুপুর বেলা কমলা নাকি এসেছিল শানিকে দেখতে। শানির অসুখের খবর পেয়ে সে চুপ করে থাকতে পারেনি। সারাদিন সে খুকীকে কোলে করে ছিল, আমার স্ত্রীর সমস্ত বিপরীত চেষ্টা ব্যৰ্থ করে। আমি আসবার ঘণ্টা তিনেক আগে এখান থেকে চলে গেছে। আমি অফিস থেকে ফিরে বিজুকে আর শানিকে ঐ অবস্থায় দেখলুম। বিজু বল্লে, “কি ছাই বেদান খাইয়ে গেল। তারপর থেকে বাছা আমার কিছু মুখে করছে না।” আমি বিজুর পানে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইলুম। সে আমার হাত দু’খানা চেপে ধরে করুণ সুরে বলে, “ তুলি আজই বাড়ী বদল কর। নয়। আমায় বাপের বাড়ী রেখে এসে। ও রাঙ্গুসী। আবার কালই আসবে বলে গেছে।” আমার কানের মধ্যে কে যেন গারন সীসে ঢেলে দিলে, ঘরের মধ্যে আর কোন শব্দ নেই। সব কিছু নিথর নিস্তব্ধ। আমি বিচার কৰ্ত্তে বসলুম। শানির অসুখের জন্যে বাস্তবিক দায়ী কে ? কমলা না। আমার স্ত্রী ? মিথ্যা এক জনের বুক আঘাত করলে, বিধাতার বিচারালয়ে তার কি কোন শাস্তি নাই ? বিধির পি {াস কি নিরর্থক শব্দ সমষ্টি মাত্ৰ ? এমন অন্ধকারে নীড় হারিয়ে একটা কাক ক-কা-কা-রবে ডেকে উঠলো । আমি শানির গায়ে কপালে হাত বুলাতে লাগলুম। আমার বেশ মনে