পাতা:কিন্নর দল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিন্নর দল চাহিত না । কিন্তু এ ভয়ঙ্কর নির্বান্ধব স্থানে চাল কদিন খাটে ? শীঘ্রই তাহার অল্পবয়স্ক প্রতিবেশীটিকে সমস্ত চাল বিসর্জন দিতে হইল। একদিন বুধী দেখিল সে কঁাদিতেছে! বুধীর মনে কষ্ট হইল। আহা ছেলেমানুষ! তাঁহার প্রথম সন্তান এতদিন ওই বয়সের হইয়াছে—বড় হইলে বুখী তাহাকে আর দেখে নাই ! কে জানে কোথায় গিয়াছে! বাচিয়া আছে কি না। তাই বা কে জানে ? সহানুভূতি প্ৰকাশ করিবার উপায় নাই। বুধীর ইচ্ছা হইল সঙ্গীটির সে গা চাটে। কিন্তু দু’জনের মধ্যে তারের বেড়া। বুখী তবুও তাহাকে যতদূর সম্ভব সাস্তুনা দিয়াছিল সেদিন। ছেলে মানুষ, বেশ নধর গড়ন, তবুও এই ভয়ানক স্থানে পেট ভরিয়া না খাইতে পাইয়া রোগ হইয়া গিয়াছে। সেই চাইতে দু’জনে বেশ ভাল। আজ সকালে উঠিয়া বুধী তাহার দিকে চাহিয়া দেখিল, সে খাবার খাইতেছে। ছেলে-মানুষ, খাইবার লোভই বেশী। খাওয়া শেষ করিয়া তাহার তরুণ বন্ধু দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া বলিয়া छठेल-शक्षा-अ-यों ! বুধী বলিল-চুপ করে। ছিঃ মন খারাপ করো না। কিন্তু তাহার নিজের মন দিয়া তো বুঝিতেছে, কি দারুণ অশান্তিতে কাটিতেছে এখানে ! তবুও ছেলে-মানুষকে মিথ্যা সাত্ত্বিনা দেওয়াও ভালো ! বুধী বলিল-খাও খাও। যা পড়ে আছে, ও’। দুটি খেয়ে ফেল। এমন সময়ে দুজন যমদূতের মত লোক তাহাদের কােঠরায় ঢুকিিল। বুধীদের কােঠরায় তাহারা প্ৰায় জন কুড়ি আছে। এই কুড়ি জনের অধিকাংশই প্রৌঢ় বয়স্ক। একজন তো আছে, বৃদ্ধের দলে তাকে অনায়াসেই ফেলা চলে।