পাতা:কুমার সম্ভব (কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য্য).pdf/১১৩

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১০৪
কুমারসম্ভব।

আনিয়া অপর্ণ করিলেন, তিনি মন্ত্রপাঠ সহকারে সমস্ত গ্রহণ করিলেন॥ ৭২॥

 যেমন নবীন চন্দ্রের কিরণগণ সমুদ্রের স্ফীতি জন্মাইয়া দিয়া উহাকে ফেণায় আচ্ছাদিত করিয়া তীর-ভূমি অভিমুখে লইয়া যায়, তদ্রূপ পট্টবসন পরিধানের পর শিবকে শান্তস্বভাব অন্তঃপুর-রক্ষী পুরুষেরা বধূর নিকটে লইয়া গেল॥ ৭৩॥

 যেমন শরৎকালের সমাগমে সংসারে চন্দ্রের কান্তি উজ্জ্বল হয়, কুমুদ বিকসিত হয়, জল পরিষ্কার হয়; তদ্রূপ সেই উজ্জ্বল-মুখ-চন্দ্র-শোভিতা কুমারীর নিকটে যাইয়া শিবের চক্ষু বিকসিত হইল, অন্তঃকরণ নির্ম্মল হইল॥ ৭৪॥

 শুভ দৃষ্টির সময় চারি চক্ষু একত্র হইয়া পরস্পরকে দেখিতে ব্যগ্র হওয়াতে লজ্জা জন্য সংকোচ প্রাপ্ত হইতে লাগিল, যখন যখন চারি চক্ষু এক হয়, তখন লজ্জায় যেন অবনত হইয়া পড়ে, আর কিয়ৎকাল মিলিত ভাবে অবস্থিতি করে, পরে অপসারিত হয়॥ ৭৫॥

 শিবের পুরোহিত রক্তবর্ণ অঙ্গুলি-বিশিষ্ট পার্ব্বতীর হস্ত আনিয়া দিলেন, শিব তাহা ধারণ করিলেন। সেই হস্ত দর্শন করিলে মনে হইবেক যেন কন্দর্প শিবের ভয়ে পার্ব্বতীর শরীরে লুক্কায়িত ছিলেন, এই আবার তাঁহার প্রথম অঙ্কুর দেখা দিতেছে॥ ৭৬॥

 পার্ব্বতীর শরীরে রোমাঞ্চ হইল, বৃষভধ্বজ শিবের অঙ্গুলিতে ঘর্ম্মের আবির্ভাব হইল। অতএব মনে হয় যেন উভয়ের চারি হস্ত একত্র হইবার সময় কামদেবের