পাতা:কুমার সম্ভব (কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য্য).pdf/২৭

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৮
কুমারসম্ভব।

সেই প্রাচীন গ্রন্থকর্ত্তা ব্রহ্মা যখন আপনার চারি মুখে বাক্য উচ্চারণ করিতে লাগিলেন, তখন ভাষার পূর্ব্বোক্ত চারি প্রকার অবয়ব যেন চরিতার্থতা লাভ করিল॥ ১৭॥

 হে প্রভূত পরাক্রমশালী যুগকাষ্ঠ তুল্য দীর্ঘ বাহুধারী দেবগণ! আপনারা যে সকলে একত্রে আসিয়াছেন, জিজ্ঞাসা করি আপনাদিগের মঙ্গল ত? আপনারা নিজ নিজ ক্ষমতাবলে আপন আপন পদ অধিকার করত কালযাপন করিতেছেন ত?॥ ১৮॥

 ব্যাপারটা কি? যেমন শীতকালের সমাগমে আকাশের গ্রহ নক্ষত্রাদি জ্যোতিঃ পদার্থের ঔজ্জ্বল্য হ্রাস হইয়া যায়, সেই রূপ আপনাদিগের মুখমণ্ডলে পূর্ব্বের মত স্বভাব সিদ্ধ আলোকময় কান্তি আজি দেখিতে পাই না কেন?॥ ১৯॥

 দেখিতেছি যে ইন্দ্রের বজ্র হইতে পূর্ব্বে যে অগ্নিশিখার ন্যায় জ্যোতি নির্গত হইত, তাহা সকলি নির্ব্বাণ হইয়াছে, তাহাতে আর নানা বর্ণের বিচিত্র শোভা দেখিতেছি না, জ্ঞান হয় যেন উহার ফলায় আর ধার নাই॥ ২০॥

 আরো দেখিতেছি, বরুণের হস্তে এই যে নাগপাশ, যাহাকে নিবারণ করা শত্রুবর্গের অসাধ্য, উহার এখন তেমনি দশা হইয়াছে, যেমন মন্ত্রবলে সর্পকে নিস্তেজ করিয়া দিলে তাহার অবস্থা হইয়া থাকে॥ ২১॥

 কুবেরের হস্তে গদা নাই, উঁহাকে দেখিলে মনে হয় যেন বৃক্ষের শাখা ভঙ্গ হইয়া গিয়াছে; দেখিলেই জ্ঞান হয় যেন