পাতা:কুমার সম্ভব (কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য্য).pdf/৪১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৩২
কুমারসম্ভব।

বায়ু যাইয়া অগ্নির সাহায্য কর’ এ কথা বায়ুকে আর বলিয়া দিতে হয় না।॥ ২১॥

 কামদেব ইন্দ্রের এই আজ্ঞা যেন প্রভুর প্রসাদীয় মালার ন্যায় শিরোধার্য্য করিয়া বিদায় হইলেন। ইন্দ্রের করতল ঐরাবতকে উৎসাহদানার্থ চপেটাঘাত করিয়া করিয়া কর্কশ হইয়াছিল, তদ্দ্বারা তিনি গমনোদ্যত কামদেবের দেহ স্পর্শ করিয়া অনুগ্রহ প্রদর্শন করিলেন॥ ২২॥

 তাঁহার প্রিয়বন্ধু বসন্ত এবং গৃহিণী রতি নানা অস্বস্তি আশঙ্কা করিতে করিতে পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিলেন, কামদেব মনে মনে প্রতিজ্ঞা করিলেন, প্রাণ থাকুক আর যাউক, কার্য্য সিদ্ধ করিতেই হইবে। এই ভাবে তিনি হিমালয়স্থিত মহাদেবের তপোবনে উপনীত হইলেন॥ ২৩॥

 তথায় কামদেবের অহঙ্কার স্বরূপ স্বয়ং বসন্ত আবির্ভূত হইয়া তপোনিষ্ঠ ঋষিগণের চিত্তের একাগ্রতা নষ্ট করিবার তাবৎ উদ্যোগ আরম্ভ করিয়া আপন মহিমা প্রকটন করিলেন॥ ২৪॥

 উষ্ণকিরণধারী সূর্য্যদেব, কুবের যে দিকের অধিপতি, সেই দিকের প্রতি গমনোদ্যত হইয়া অসময়ে দক্ষিণ দিক্‌কে পরিত্যাগ করিলেন, তাহাতে দক্ষিণ দিক্‌ অকারণে পরিত্যক্ত অবলার ন্যায় দীর্ঘনিশ্বাস তুল্য মলয়বায়ু আপন মুখ হইতে বহমান করিয়া দিলেন॥ ২৫॥

 অশোকতরু অবিলম্বে পল্লব ও পুষ্প প্রসব করিতে লাগিল, এমন কি উহার স্কন্ধদেশে পর্য্যন্ত পুষ্পের উদয়