পাতা:কুমার সম্ভব (কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য্য).pdf/৪৭

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৩৪
কুমারসম্ভব।

ছিল- না, কিন্তু ধ্যানপ্রভাবে হৃৎপুণ্ডরীকে স্থিরীকৃত করা হইয়াছিল। আর যিনি পণ্ডিতদিগের নিকট অবিনাশী বলিয়া পরিচিত, সেই পরমাত্মাকে নিজ আত্মার মধ্যে সাক্ষাৎকার করিতেছিলেন॥ ৫০॥

 এতাদৃশ দুর্দ্ধর্ষমূর্ত্তি মহাদেবকে দর্শন করিয়া কামদেবের তাঁহার প্রতি বাণ-প্রয়োগ-চেষ্টা তিরোহিত হইল, ভয়ে তাঁহার হস্ত অবসন্ন হইয়া পড়িল এবং উহা হইতে ধনুর্বাণ পড়িয়া গিয়াছে ইহাও তিনি জানিতে পারিলেন না॥ ৫১॥

 এই সময়ে দুই সখীকে সঙ্গে লইয়া পর্ব্বতরাজ-নন্দিনী উপস্থিত হইলেন তাঁহার সৌন্দর্য্য দর্শনে কামদেবের নির্বাণপ্রায় বলবীর্য্য যেন পুনর্ব্বার উত্তেজিত হইয়া উঠিল॥ ৫২॥

 পার্ব্বতী তৎকালে বাসন্তিক পুষ্প দ্বারা কতকগুলি অলঙ্কার প্রস্তুত করিয়া পরিয়াছিলেন, অশোক পুষ্পে পদ্মরাগ মণির কার্য্য নির্ব্বাহ হইয়াছিল, কর্ণিকার সুবর্ণের ন্যায় হইয়াছিল, আর সিন্ধুবার পুষ্পই মুক্তাভূষণরূপে পরিণত হইয়াছিল॥ ৫৩॥

 তিনি স্তনভরে ঈষৎ অবনত ছিলেন, প্রভাত কালীন আতপের ন্যায় আরক্ত বস্ত্র পরিধান করিয়াছিলেন অতএব জ্ঞান হইতেছিল যে স্থূল স্থূল পুষ্পস্তবকের ভার প্রযুক্ত নম্রীভূত একটী লতাই যেন চলিয়া যাইতেছে॥ ৫৪॥

 বকুলমালকে তিনি চন্দ্রহার করিয়া পরিয়াছিলেন, তাহা নিতম্বদেশ হইতে মুহুর্মুহু খসিয়া পড়িতেছিল, এবং মুহুর্মুহু ধারণ করিতে ছিলেন। তাঁহার নিতম্ববর্ত্তিনী সেই বকুলমালা