চতুর্থ সর্গ।
এদিকে কামকান্তা রতি মোহে অভিভূত হইয়া নিম্পন্দভাবে এতক্ষণ অবস্থিত ছিলেন, এখন তাঁহার চৈতন্য হইল, কারণ বিধাতার মনে মনে ছিল যে নূতন বিধবা হইবার দুঃসহ যন্ত্রণ তাঁহাকে ভোগ করাইবেন॥ ১॥
মুর্চ্ছার অবসানে যখন তাঁহার দুই চক্ষু উল্মীলিত হইল, তখন তিনি সেই দুই চক্ষে মনোযোগ অপর্ণ করিলেন, তিনি জানিতেন না যে, যে প্রিয় বস্তুকে দর্শন করিয়া সেই দুই চক্ষুর আশ মিটিত না, তাঁহার দর্শন তাহারা আর পাইবে ন॥ ২॥
প্রাণনাথ! তুমি কি বাঁচিয়া আছ, এই কথা বলিয়া রতি যখন গাত্রোত্থান করিলেন, তখন তিনি দেখিলেন যে তাঁহার সম্মুখে ভূমিতলে পুরুষের আকার বিশিষ্ট কেবল এক রাশি ভস্ম মহাদেবের ক্রোধানলের অবশেষ স্বরূপ পড়িয়া আছে॥ ৩॥
তদ্দর্শনে তিনি এককালে অস্থির হইয়া পড়িলেন, ধরাতল আলিঙ্গন করিয়া দুই পয়োধর ধুসরবর্ণ করিলেন, তাঁহার কেশ আলুলায়িত হইল, তিনি এই রূপে বিলাপ করিতে লাগিলেন, তাহাতে সেই স্থান যেন তাঁহার দুঃখে দুঃখিত হইয়া শোকের নিকেতনের ন্যায় হইয়া উঠিল॥ ৪॥
তেমন সুন্দর তোমার যে সেই শরীর, যাহার সহিত