পাতা:কুমার সম্ভব (কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য্য).pdf/৫৮

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
চতুর্থ সর্গ।
৪৯

 রতি দুঃখিত ভাবে তখন বসন্তকে বলিতে লাগিলেন, ওহে বসন্ত! তোমার বন্ধুর কি হইয়াছে দেখ। সেই শরীর এখন এই ভস্ম হইয়া গিয়াছে, এবং চতুর্দ্দিক হইতে বায়ু আসিয়া কণা কণা উহা উড়াইয়া লইতেছে॥ ২৭॥

 হে কন্দর্প! অন্তত এখন দর্শন দাও, এই দেখ বসন্ত তোমাকে দেখিতে ব্যস্ত হইয়াছেন। রমণীগণের প্রতি পুরুষের যে প্রেম, তাহা যেন স্থির থাকে না সত্য, কিন্তু মিত্রের প্রতি যে স্নেহ, তাহা ত নষ্ট হয় না॥ ২৮॥

 তোমার কি মনে নাই যে যদিও তোমার ধনুর্গুণ মৃণাল সূত্রে নির্ম্মিত আর যদিও তোমার বাণ কোমল পুষ্পে বিরচিত, তথাপি এই বসন্তই তোমার পার্শ্ববর্ত্তী থাকিয়া দেবাসুরসম্বলিত সমস্ত ব্রহ্মাণ্ডকে তোমার আজ্ঞাকারী করিয়া দিয়াছেন॥ ২৯॥

 হায়! যেমন বায়ুর আঘাতে দীপ নির্ব্বাণ হয়, তদ্রূপ তোমার সেই বন্ধু এক কালে গিয়াছেন, আর ফিরিতেছেন না। আমি যেন সেই নির্ব্বাণ প্রদীপের বর্ত্তি স্বরূপ হইয়া আছি, আর এই দুঃসহ দুঃখ ধূম স্বরূপ হইয়াছে॥ ৩০॥

 বিধাতা কন্দর্পকে বধ করিলেন অথচ আমাকে মারিলেন না, ইহাতে তাঁহার অসম্পূর্ণ হত্যা করা হইয়াছে। যে বৃক্ষকে নিরুপদ্রব আশ্রয়-স্থান জ্ঞান করিয়া লতা অবলম্বন করিয়াছিল, যদি হস্তী তাহা ভাঙিয়া দেয়, তাহা হইলে লতার অদৃষ্টে পতন ব্যতীত আর কি আছে॥ ৩১॥

 অতএব তোমার নিকট প্রার্থনা যে আমি তোমার বন্ধু

(৭)