পাতা:কুমার সম্ভব (কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য্য).pdf/৭৮

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
পঞ্চম সর্গ।
৬৯

ময়ী চন্দ্রকলা ত অগ্রেই গিয়াছে আর ত্রিভুবনের লোকের লোচনানন্দভূতা তুমিও এখন সেই দশা প্রাপ্ত হইলে॥ ৭১॥

 হে হরিণ-শিশু-লোচনে! লোকে যে যে গুণে ভূষিত বরের কামনা করিয়া থাকে, তাহার একটীও গুণ কি শিবের আছে। দেখ শরীরে তিন চক্ষু, জন্মের পরিচয় কেহই জানে না, আর ধনবান্‌ যে কিরূপ, তাহা তাঁহার বসন নাই ইহাতেই বুঝা গিয়াছে॥ ৭২॥

 অতএব এই দুরভিসন্ধি হইতে মনকে নিবৃত্ত কর। তোমার মত সুলক্ষণা অবলার পাণিগ্রহণ তাদৃশ ব্যক্তি কর্ত্তৃক হওয়া নিতান্ত অযোগ্য। যজ্ঞে পশু বন্ধনের যূপের প্রতি যে পূজা করা গিয়া থাকে, শ্মশানস্থিত বধ্য-শূলকে সেই পূজা কেহ দিবেক, ইহা ভদ্র লোকে কখন প্রত্যাশা করেন না॥ ৭৩॥

 ব্রহ্মচারী এই রূপে তাঁহার অনভিমত কথা সমস্ত যখন বলিতেছিলেন, তখন পার্ব্বতীর অধর কম্পিত হইয়া তাঁহার ক্রোধোদয়ের সূচনা করিয়া দিল, ভ্রূলতা কোপে সংকোচ প্রাপ্ত হইল, দুই চক্ষুর প্রান্তভাগ রক্ত বর্ণ হইয়া উঠিল এবং তিনি বক্র দৃষ্টি নিক্ষেপ করিতে লাগিলেন॥ ৭৪॥

 তখন তাঁহাকে কহিলেন, মহাদেব যে কি বস্তু, তাহা তুমি কখনই অবগত নহ, সেই নিমিত্তই আমাকে এতাদৃশ কথা বলিতেছিলে। মূঢ় লোকে মহাপুরুষদিগের অসাধারণ আচরণ অবলোকন পূর্ব্বক উহার কারণ নিরূপণ করিতে না পারিয়া নিন্দা করিয়া থাকে॥ ৭৫॥