ষষ্ঠ সর্গ।
তখন পার্ব্বতী বিশ্বস্ত সখী দ্বারা শিবকে এই কথা বলিয়া পাঠাইলেন, পর্ব্বতরাজ আমাকে সম্প্রদান করিবার অধিকারী; অতএব তাঁহার মত করুন॥ ১॥
যেমন সহকারলতা কোকিলের আলাপদ্বারা বসন্তের সহিত সম্ভাষণ করে, তদ্রূপ পার্ব্বতী শিবের নিকটে অবস্থিত হইয়াও সখীদ্বারা তাঁহার নিকট পূর্ব্বোক্ত কথাটী বলিয়া পাঠাইলেন॥ ২॥
‘তাহাই করিতেছি’ শিব এই প্রকার প্রতিশ্রুত হইয়া অতি কষ্টে পার্ব্বতীর নিকট বিদায় লইয়া আকাশে তার রূপে বিরাজমান সপ্ত ঋষিকে স্মরণ করিলেন॥ ৩॥
তৎক্ষণাৎ সেই সপ্ত ঋষি অরুন্ধতীকে সঙ্গে লইয়া এবং পুঞ্জ পুঞ্জ আলোক দ্বারা আকাশমণ্ডলকে উজ্জ্বলীকৃত করিতে করিতে প্রভুর সম্মুখে দণ্ডায়মান হইলেন॥ ৪॥
তখন তাঁহাদিগের সেই স্বর্গগঙ্গার স্রোতে অবগাহন করা হইয়াছে, যে স্রোতের তরঙ্গ তীরস্থিত মন্দার বৃক্ষের শুষ্ক পুষ্পগুলিকে ইতস্তত ভাসাইয় লয় এবং যাহার জল দিগ্গজদিগের মদ বারির গন্ধে সুরভীকৃত হইয়া থাকে॥ ৫॥
তাঁহাদিগের যজ্ঞোপবীত মুক্তাময়, বল্কল সুবর্ণময়, এবং