হে দ্বারপাল! সত্বর উত্তর ও বৃহন্নলাকে আনয়ন কর। উহাদিগকে অবলোকন করিতে আমি অত্যন্ত ব্যগ্র রহিয়াছি।
তখন যুধিষ্ঠির একান্তে দ্বারপালের কর্ণকুহরে কহিলেন—
বৃহন্নলা যেন কিয়ৎক্ষণ পরে আগমন করেন, তিনি আমার অঙ্গে অকারণপাতিত শােণিত সন্দর্শন করিলে মহারাজের আর রক্ষা থাকিবে না।
অনন্তর উত্তর সভাস্থলে প্রবেশপূর্ব্বক পিতার চরণবন্দন ও কঙ্ককে প্রণাম করিয়া সহসা তাঁহার রক্তাক্ত মুখশ্রী দেখিয়া ব্যগ্রচিত্তে পিতাকে জিজ্ঞাসা করিলেন—
হে পিতঃ! কে ইহাকে প্রহার করিল? কোন্ দুঃসাহস এই পাপানুষ্ঠানে সমর্থ হইল?
বিরাট কহিলেন—বৎস! আমি তােমার বিজয়বার্ত্তা শ্রবণে পরম আহ্লাদিত হইয়া তোমার প্রশংসা করিতেছিলাম, কিন্তু এই ব্রাহ্মণ আমার কথায় অনুমােদন না করিয়া বারংবার বৃহন্নলারই প্রশংসা করিতে লাগিল, এই নিমিত্ত আমিই উহাকে প্রহার করিয়াছি।
উত্তর কহিলেন—মহারাজ! আপনি অতিশয় অন্যায় কার্য্য করিয়াছেন। শীঘ্র উহাকে প্রসন্ন করুন, নচেৎ ব্রহ্মশাপে বিনষ্ট হইবেন, সন্দেহ নাই।
তখন বিরাট ধর্ম্মরাজের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিলে তিনি কহিলেন—
মহারাজ! উদ্বিগ্ন হইবেন না। আমি বহুক্ষণ ক্ষমা