পাতা:কুরু পাণ্ডব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কুরু পাণ্ডব

অগ্রেই চলিয়া গিয়াছেন। যুধিষ্ঠির মাতার পাদবন্দন করিয়া সর্ব্বাগ্রে ভীমের আগমন সংবাদ জিজ্ঞাসা করিলেন। কুন্তীদেবী চমকিত ও ভীত হইয়া যুধিষ্ঠিরকে কহিলেন, “হায়, ভীমসেনকে ত আমি দেখি নাই, সে ও অগ্রে আসে নাই। অতএব যাও বৎস, অবিলম্বে তাহার সন্ধানে প্রবৃত্ত হও।”

 ভীম অষ্টম দিনে জাগরিত হইয়া গাত্রোথান করলে নাগগণ নিকটে আসিয়া বলিল, “হে মহাবাহো, তুমি যে অমৃত পান করিয়াছ তাহাতে তোমার অযুত গজোপম বল হইবে। এক্ষণে এই দিব্যজলে স্নান করিয়া গৃহে প্রতিগমন করো, তথায় তোমার অদর্শনে তোমার মাতা ও ভাতৃগণ নিতান্ত কাতর হইয়া আছেন।”

 এই উপদেশ অনুসারে ভীম স্নানাবসানে শুক্লমাল্য ও শুক্লাম্বর পরিধানপূর্ব্বক বিগতক্লম হইয়া হৃষ্টচিত্তে নাগগণের পূজা গ্রহণ করিলেন এবং তাঁহাদিগকে আমন্ত্রণ করিয়া নাগলোক হইতে উত্থানপুর্ব্বক অবিলম্বে জননীর নিকট উপস্থিত হইয়া সকলকে যথাযোগ্য অভিবাদন করিলে, পুত্রবৎসলা কুন্তী ও ভ্রাতৃগণ পরমানন্দে তাঁহাকে আলিঙ্গন করিলেন।

 যুধিষ্ঠির ভীমের নিকট সমস্ত বৃত্তান্ত শুনিয়া কহিলেন— ভ্রাতঃ! সাবধান, যেন এ কথা আর কাহারও নিকট প্রকাশ না পায়। অদ্যাবধি পরস্পরের রক্ষার্থে আমাদিগকে বিশেষ যত্নবান্ থাকিতে হইবে।

 একদিন রাজকুমারগণ দলবদ্ধ হইয়া ক্রীড়ামে নগরের