পাতা:কুরু পাণ্ডব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১২
কুরু পাণ্ডব
[৭

রাজকুমারীর গুরুস্বরূপ ছিলাম। তিনিও আমাকে পিতার ন্যায় মান্য করিতেন, অতএব যদি অনুমতি করেন, তবে আমি উত্তরাকে আমার পুত্র অভিমন্যুর নিমিত্ত বধূরূপে গ্রহণ করি।

 অর্জ্জুনের বাক্যে প্রীত হইয়া বিরাটরাজ কহিলেন—

 হে কৌন্তেয়! তুমি একান্ত ধর্ম্মপরায়ণ। স্বয়ং উত্তরার পাণিগ্রহণ করতে অস্বীকার করা তােমার উপযুক্তই হইয়াছে। এক্ষণে কালবিলম্ব না করিয়া অভিমন্যুর সহিত বিবাহের উদ্যোগসম্বন্ধে যাহা কর্ত্তব্য, তাহার অনুষ্ঠান করা যাক।

 অনন্তর এ বিষয়ের সংবাদ দিয়া এবং নিমন্ত্রণ জ্ঞাপন করিয়া প্রথমত বাসুদেবের নিকট পরে অন্যান্য মিত্রণের রাজ্যে দূতপ্রেরণ করা হইল। পাণ্ডবগণ সময়পালনান্তে মুক্তিলাভ করিয়াছেন এই সংবাদ প্রচার হওয়ায় মিত্র ভূপতিগণ সসৈন্যে দলে দলে আগমন করিতে লাগিলেন।

 প্রথমে যুধিষ্ঠিরের পরম প্রিয়পাত্র কাশীরাজ ও শিবিরাজ এক এক অক্ষৌহিণী সেনা লইয়া বিরাটনগরে সমাগত হইলেন। পরে মহাবল দ্রুপদ ও ধৃষ্টদ্যুম্ন শিখণ্ডী ও দ্রৌপদীর পঞ্চপুত্র-সমভিব্যাহারে এক অক্ষৌহিণী সেনা লইয়া উপস্থিত হইলেন।

 বিরাটরাজ অর্জ্জুনপুত্র অভিমন্যুর ন্যায় সৎপাত্রলাভে পরম আহ্লাদিত হইয়া দিগ্দেশাগত নৃপতিগণকে পরম সমাদর অভ্যর্থনা করিতে লাগিলেন।