বুঝাইবার নিমিত্ত যত্ন কর, সে আমাদের কাহারও বাক্য গ্রাহ্য করে না। তুমি তাহাকে শান্ত করিতে পারিলে যথার্থ বন্ধু জনােচিত কার্য্য হইবে।
রাজা ধৃতরাষ্ট্রের বাক্যানুসারে বাসুদেব দুর্য্যোধনের অভিমুখে প্রত্যাবৃত হইয়া মৃদুবচনে কহিতে লাগিলেন—
ভ্রাতঃ! তুমি যে রূপ ব্যবহার করিতেছ, তাহা তোমার বংশের উপযুক্ত হইতেছে না। সেই বিপরীত ব্যবহারজনিত অনর্থ পরিহারপূর্ব্বক নিজের ভ্রাতৃগণের ও মিত্রসকলের শ্রেয় সাধন কর। হে দুর্য্যোধন! পাণ্ডবদের সহিত সন্ধিস্থাপন করা তোমার গুরুজন সকলেই অভিপ্রেত; অতএব তাহা তােমারও অনুমােদিত হউক।
কৃষ্ণের বাক্যাবসানে ভীষ্ম তাঁহার কথা সমর্থন করিয়া দুর্য্যোধনকে বুঝাইতে লাগিলেন—
হে দুর্য্যোধন! মহাত্মা কেশব তোমাকে ধর্ম্মসঙ্গত উপদেশ প্রদান করিলেন, তুমি তাহার অনুবর্ত্তী হও, প্রজাগণকে বিনষ্ট করিও না, পিতামাতাকে শােকসাগরে নিমগ্ন করিও না।
কিন্তু দুর্য্যোধন ভীষ্ম-বাক্যের সমাদর না করিয়া— ক্রোধে ঘন ঘন শ্বাস পরিত্যাগ করিতে লাগিলেন। তখন বিদুর কহিলেন—
আমি তােমার নিমিত্ত শােক করিতেছি না, কিন্তু তোমার বৃদ্ধ পিতামাতা যে তােমাকে উৎপাদন করিয়া হতপুত্র ও