পাতা:কুরু পাণ্ডব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮]
কুরু পাণ্ডব
১৩৩

 এই বলিয়া মহামতি বাসুদেব বহির্গত হইয়া রথারােহণ পূর্ব্বক পিতৃস্বসার নিকট বিদায় লইতে চলিলেন। তথায় তাঁহাকে সমস্ত বৃত্তান্ত জ্ঞাত করাইয়া কৃষ্ণ কহিলেন―

 দেবি! দুর্য্যোধনের ত শেষদশা উপস্থিত হইয়াছে; এক্ষণে আপনার পুত্রদিগকে যদি কিছু বক্তব্য থাকে, তাহা আমি শ্রবণ করিতে অভিলাষী।

 কুন্তী কহিলেন—বৎস! যুধিষ্ঠিরকে আমার বচনে কহিবে—

 ―হে পুত্র! তোমার রাজ্য-পালন-জনিত প্রচুর ধর্ম্ম বিনষ্ট হইতেছে; অতএব আর ক্ষত্রধর্মে অবহেলা করি না। তোমার বুদ্ধি সতত ধর্ম্মচিন্তায় অভিভূত হইয়া কর্ম্মপথের বাধা ঘটায়; অতএব সাবধান হও।

 ―হে কেশব! ভীমসেন ও ধনঞ্জয়কে কহিবে—

 বৎসগণ! ক্ষত্রিয় কন্যা যে নিমিত্ত গর্ভধারণ করেন, তাহা স্মরণ রাখিও, এক্ষণে তাহা সফল করিবার সময় আগত হইয়াছে।

 ―এবং কল্যাণী দ্রুপদনন্দিনীকে কহিবে―

 —“হে কৃষ্ণে! হে মহাভাগে! হে যশস্বিনি! তুমি আমার পুত্রগণের প্রতি এত ক্লেশ সহ্য করিয়াও যথােচিত আচরণ করিয়াছ, ইহা তােমার উপযুক্তই হইয়াছে।

 হে মাধব! সকলকে আমার স্নেহাশীর্ব্বাদ ও কুশলসংবাদ জ্ঞাপন করিবে। এক্ষণে তুমি নির্ব্বিঘ্নে গমন কর।

 অনন্তর কুন্তীকে অভিবাদন করিয়া কৃষ্ণ তথা হইতে