পাতা:কুরু পাণ্ডব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০
কুরু পাণ্ডব

দ্বারের দিকে সকলের কৌতূহল দৃষ্টি নিক্ষিপ্ত হইল। পঞ্চপাণ্ডবেষ্টিত দ্রোণাচার্য্য দণ্ডায়মান হইয়া সে দিকে নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন।

 দ্বারের নিকটস্থ সকলে পথ মুক্ত করিলে মহাবীর সূতনন্দন কর্ণ সহজাত দিব্য কবচ ও কুণ্ডলে শোভমান হইয়া রঙ্গমধ্যে প্রবেশপূর্ব্বক সগর্ব্বে ইতস্তত দৃষ্টিপাত করিয়া ঈষৎ অবহেলাভরে দ্রোণ ও কৃপ আচার্য্যদ্বয়কে অভিবাদন করিলেন। সভাস্থ সকলে এই সূর্য্যসদৃশ দীপ্তিমান রীরের পরিচয় জানিবার জন্য ব্যগ্র হইয়া উঠিলেন।

 অনন্তর কর্ণ অজ্ঞাতভ্রাতা অর্জ্জুনকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন-

 তুমি মনে করিতেছ একমাত্র তুমিই এই সকল স্তুতির অধিকারী, কিন্তু বিস্মিত হইয়ো না, আমিও এই সমস্ত অদ্ভুত কর্ম্ম সাধন করিব।

 দুর্য্যোধন এতক্ষণ অর্জ্জুনের অজস্র প্রশংসাবাদে অতিশয় ঈর্ষান্বিত হইতেছিলেন, এক্ষণে তাঁহার উপযুক্ত প্রতিপক্ষ উপস্থিত হওয়ায় অনুরূপ হর্ষযুক্ত হইলেন। লোকসমক্ষে রূঢ় বাক্য শ্রবণে অর্জ্জুনের একান্ত লজ্জা ও ক্রোধের উদ্রেক হইল।

 কর্ণ স্বীয় অঙ্গীকার অনুসারে অর্জ্জুনকৃত সমস্ত কার্য্য সুসম্পন্ন করিয়া দর্শকবৃন্দকে চমৎকৃত করিলে দুর্য্যোধন আনন্দের উচ্ছ্বাসে থাকিতে না পারিয়া কর্ণকে আলিঙ্গন পূর্ব্বক কহিলেন-