পাতা:কুরু পাণ্ডব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কুরু পাণ্ডব
১১

 হে বীরবর! তােমার অদ্ভুত কৌশল দেখিয়া অদ্য আমরা অত্যন্ত প্রীত হইলাম।

 কর্ণ বলিলেন—প্রভো! বােধ করি আমি অর্জ্জুনকৃত সর্ব্বপ্রকার কার্য্যই সম্পাদন করিয়াছি, এক্ষণে দ্বন্দ্বযুদ্ধ করিয়া অর্জ্জুনের শ্রেষ্ঠত্বের প্রকৃত পরীক্ষা করিতে ইচ্ছা করি।

 কর্ণের স্পর্ধায় ও দুর্য্যোধনের অনুমোদনে অর্জ্জুনের রোষের আর সীমা রহিল না। তিনি কর্ণকে সাম্মোধনপূর্ব্বক দুর্য্যোধনকে উদ্দেশ করিয়া বলিলেন-

 হে সূতপুত্র! যাহারা অনাহূত সমক্ষে উপস্থিত হয়, এবং অযাচিত বাক্যবিন্যস করে, তাহারা যে-লোকে গমন করে, অদ্য আমার হস্তে প্রাণ ত্যাগ করিয়া তুমি সেই লােকে গমন করিব;

 কর্ণ উত্তর করিলেন—

 হে অর্জ্জুন! এই রঙ্গভূমি যােদ্ধা মাত্রেইর অধিকৃত, ইহাতে কাহাকেও আহ্বান বা নিবারণ করা সম্বন্ধে তোমার কোনাে প্রভূতা নাই।

 অনন্তর অর্জ্জুন দ্রোণের অনুমতি প্রাপ্ত হইয়া এবং ভ্রাতৃগণকর্ত্তৃক উৎসাহিত হইয়া যুদ্ধার্থে কর্ণের দিকে অগ্রসর হইলেন।

 সভাস্থ সকলেই মনে মনে দুই দলে বিভক্ত হইয়া পাড়লেন, দ্রোণ কৃপ ও পাণ্ডবভ্রাতৃগণ অর্জ্জুনের পক্ষ এবং ধার্ত্তরাষ্ট্র শতভ্রাতা ও অশ্বত্থামা কর্ণের পক্ষ লইলেন।

 দুই পুত্রের মধ্যে আসন্ন সাঙ্ঘাতিক যুদ্ধসম্ভাবনায় কুন্তী