পাতা:কুরু পাণ্ডব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১]
কুরু পাণ্ডব
১৯১

অথবা অভিলষিত লােকসকল প্রাপ্তির সম্ভাবনায় ইহার সত্যই আনন্দিত হইতেছে।

 এই বলিয়া অর্জ্জুন ত্রিগর্ত্তরাজের সম্মুখে রথস্থাপনপুর্ব্বক সুবর্ণালঙ্কৃত দেবদত্ত-শঙ্খধ্বনি করিলেন। তখন ত্রিগর্ত্তগণ সকলে মিলিয়া এককালে অর্জ্জুনের প্রতি বাণনিক্ষেপ করিতে লাগিলেন। তন্মধ্যে ত্রিগর্ত্তরাজের এক ভ্রাতা অর্জ্জুনের কিরীটে অস্ত্রাঘাত করিলে ধনঞ্জয় প্রথমেই তাঁহার শিরশ্ছেদন করিলেন এবং পরে অবিচ্ছিন্ন শরনিকরে তাঁহাদের সৈন্যগণকে সংহার করিতে লাগিলেন। তখন তাহারা একান্ত ভীত হইয়া দুর্য্যোধনের সৈন্যসমুদায়ের সহিত মিলিত হইবার নিমিত্ত পলায়নের উপক্রম করলে ত্রিগর্ত্তরাজ ক্রোধাবিষ্ট হইয়া কহিলেন—

 হে বীরগণ! তােমরা পলায়ন করিও না। কৌরবগণের সমক্ষে সেরূপ ভয়ানক শপথ করিয়া এক্ষণে কিরূপে তাঁহাদের নিকট গমন করিবে।

 এই কথায় সৈন্যগণ উত্তেজিত ও পুনরায় মিলিত হইয়া যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইল। অর্জ্জুন তাহাদিগকে প্রত্যাগত দেখিয়া বাসুদেবকে কহিলেন—

 হে কেশব! বােধ হয় ত্রিগর্ত্তগণ জীবনসত্ত্বে রণ পরিত্যাগ করিবে না, আরও নিকটে রথ লইয়া চল। আজি তুমি আমার ভুজবল ও গাণ্ডীব-মাহাত্ম্য অবলােকন করিবে।

 তখন কৃষ্ণ অপূর্ব্ব কৌশল প্রদর্শনপূর্ব্বক মণ্ডল অবলম্বন ও গতি প্রত্যাগতি সহকারে ত্রিগর্ত্ত সৈন্যমধ্যে বিচরণ করিতে