পাতা:কুরু পাণ্ডব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১]
কুরু পাণ্ডব
২১১

 তখন অর্জ্জুন সেই শকটাকার ব্যূহ-মুখ প্রাপ্ত হইয়া আচার্য্যের সহিত সম্মিলিত হইলেন। তিনি প্রথমত বিনীতভাবে গুরুর নিকট ব্যূহপ্রবেশের অনুমতি চাহিলে দ্রোণ হাস্যসহকারে কহিলেন―

 হে অর্জ্জুন! তুমি অগ্রে আমাকে জয় না করিয়া কদাচ জয়দ্রথকে প্রাপ্ত হইতে পারিবে না।

 এই বলিয়া দ্রোণ তীক্ষ্ণ শরজালে অর্জ্জুনকে আচ্ছাদন করিলে তিনি গুরুর সহিত যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইলেন। উভয় বীর হস্তলাঘব প্রদর্শনপূর্ব্বক পরস্পরের অস্ত্র নিবারণ জ্যাচ্ছেদন ও এককালে বহু অস্ত্রবর্ষণ করিয়া বহুক্ষণ অতি আশ্চর্য্য কৌশলযুক্ত যুদ্ধ করিতে লাগিলেন। তখন ধীমান্ বাসুদেব প্রকৃত কার্য্যসাধনের প্রতি দৃষ্টি রাখিয়া অর্জ্জুনকে কহিলেন―

 হে মহাবাহো! আমাদের আর কালক্ষেপ করা উচিত হয় না। আচার্য্যের সহিত বহুক্ষণ যুদ্ধ করা হইয়াছে; অতএব চল উঁহাকে অতিক্রম করিয়া ব্যূহ-প্রবেশ করি।

 অর্জ্জুন এই কথায় সম্মত হইলে কৃষ্ণ দ্রোণকে প্রদক্ষিণপূর্ব্বক মহাবেগে তাঁহাকে লঙ্ঘন করিয়া ব্যূহ-মধ্যে ধাবমান হইলেন। দ্রোণাচার্য্য তাঁহাকে অবরােধ করিবার অক্ষমতা অনুভব করিয়া কহিলেন―

 হে পার্থ! তুমি না শত্রু পরাজয় না করিয়া কদাচ নিবৃত্ত হও না। তবে এক্ষণে কোথায় পলায়ন করিতেছ?

 জয়দ্রথ-বধোৎসুক ধনঞ্জয় কহিলেন―