পাতা:কুরু পাণ্ডব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১]
কুরু পাণ্ডব
২১৫

 হে ভীম! যে বীর একমাত্র রথে দেব গন্ধর্ব্ব ও দৈত্যগণকে পরাজয় করিয়াছে, আমি তােমর সেই ভ্রাতা অর্জ্জুনের ধ্বজদণ্ড আর দেখিতে পাইতেছি না।

 এই কথা বলিতে বলিতে যুধিষ্ঠির একান্ত কাতর হইয়া মােহাবিষ্ট হইলেন। ভীম ভ্রাতাকে তদবস্থ দেখিয়া অতিশয় উদ্বিগ্ন হইয়া কহিলেন—

 হে ধর্ম্মরাজ! তোমাকে কখনও এরূপ কাতর দেখি নাই, পূর্ব্বে আমরা অবসন্ন হইলে তুমি আমাদিগকে আশ্বাস প্রদান করিতে; অতএব এক্ষণে শােক পরিত্যাগ করিয়া আমাকে আজ্ঞা কর—কোন্ কর্ম্ম করিতে হইবে।

 এই কথায় কথঞ্চিৎ প্রকৃতিস্থ হইয়া যুধিষ্ঠির কহিলেন—

 হে বৃকোদর! প্রিয়দর্শন অর্জ্জুন সূর্য্যোদয়ের সময়ে জয়দ্রথ-বধার্থে কৌরব-সৈন্যমধ্যে প্রবিষ্ট হইয়াছেন, এখনও প্রত্যাগত হইতেছেন না, এই শোকের মূল কারণ।

 ভীমসেন কহিলেন—মহারাজ! আর বৃথা করিও না। আমি এখনই চলিলাম।

 অনন্তর ভ্রাতৃ-হিতনিরত মহাবীর ভীম অস্ত্র-শস্ত্র গ্রহণ পূর্ব্বক শঙ্খধ্বনি ও সিংহনাদ করিয়া যাত্রা করিলেন। মারুতগামী অশ্ব-সংযােজিত রথে তিনি সেনাদিগকে বিমর্দ্দন ও নিবারণকারী বীরগণকে অতিক্রম করিয়া দ্রোণ-রক্ষিত ব্যূহমুখে মহাবেগে ধাবিত হইলেন।

 আচার্য্য কহিলেন—হে ভীমসেন! আমি অদ্য তােমার