পাতা:কুরু পাণ্ডব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১]
কুরু পাণ্ডব
২৩৭

কর, আমি কৃপের সহিত সমরে প্রবৃত্ত হইতেছি, আর ভীমসেন দুর্য্যোধনের সহিত, নকুল বৃষসেনের সহিত, সহদেব শকুনির সহিত ও সাত্যকি কৃতবর্ম্মার সহিত সংগ্রামে মিলিত হউন।

 অর্জ্জুন অনুমতি প্রাপ্ত হইয়া যাত্রার পুর্ব্বে কহিলেন—

 মহারাজ! তোমার পাদস্পর্শ করিয়া প্রতিজ্ঞা করিতেছি যে, কর্ণকে সংহার না করিয়া আমি রণস্থল হইতে প্রত্যাগমন করিব না।

 অনন্তর অপরাহ্ণকালে ভীমসেনের সমক্ষেই মহাবীর কর্ণ সোমকসৈন্যগণকে অতিশয় নিপীড়িত করিতে আরম্ভ করিলে মহাতেজা বৃকোদরও দুর্য্যোধনের সৈন্যমধ্যে প্রবিষ্ট হইয়া অতি অদ্ভুত বল প্রকাশ করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। তাঁহার যুদ্ধ প্রভাবে কৌরব-সৈন্যগণ ভগ্ন হইতে আরম্ভ করিলে দুর্য্যোধন অশ্বত্থামা ও দুঃশাসনপ্রভৃতি বীরগণ তাঁহার প্রতি ধাবিত হইলেন।

 সর্ব্বাগ্রে মহাবীর দুঃশাসন শরনিকর বর্ষণপুর্ব্বক নির্ভয়ে ভীমসেনের সহিত যুদ্ধ আরম্ভ করিলেন। তখন বীরদ্বয় পরস্পরের বধাভিলাষী হইয়া দেহবিদারণক্ষম সুতীক্ষ্ণ বাণসমূহে পরস্পরকে আচ্ছন্ন করিলেন। মহাপরাক্রমশালী বৃকোদর ক্রোধাবিষ্ট হইয়া দুঃশাসনের প্রতি এক সুশাণিত শক্তি প্রয়োগ করিলেন, প্রজ্বলিত উদ্ধার ন্যায় সেই শক্তি সমাগম হইতেছে দেখিয়া দুঃশাসন আকর্ণসমাকৃষ্ট দশ শরে তাহা মধ্যপথেই খণ্ড খণ্ড করিয়া ফেলিলেন। তদ্দর্শনে