ন্যায় বিক্রম প্রকাশপূর্ব্বক পরস্পরকে নিষ্পেষণ করিতে লাগিল।
তাহাদের ভীষণ গর্জ্জনে মাতৃসহ পাণ্ডবগণ জাগরিত হইয়া সম্মুখে উপস্থিত হিড়িম্বার মনোহর রমণী-মূর্তি দেখিয়া বিস্ময়াপন্ন হইলেন। কুন্তী সুমধুরস্বরে জিজ্ঞাসা করিলেন—
হে বরবর্ণিনি! তুমি কে, কি অভিপ্রায়ে এখানে আসিয়াছ?
হিড়িম্বা কহিল—হে দেবি! এই যে গগনস্পর্শী বৃক্ষসমাকুল শ্যামল অরণ্যানী দেখিতেছ, ইহা আমার সহোদর রাক্ষসেন্দ্র হিড়িম্বের বাসস্থান। এই রাক্ষসরাজ তোমাকে ও তোমার পুত্রদিগকে সংহার করিবার নিমিত্ত আমাকে এখানে প্রেরণ করিয়াছিল, কিন্তু হে শুভে! আমি তোমার তপ্ত-কাঞ্চন-সদৃশ-কলেবর পুত্রকে দেখিয়া বিমোহিত হইয়াছি। আমি তোমাদের রক্ষার্থে সকলকে লইয়া পলায়ন করিবার প্রস্তাব করিয়াছিলাম, কিন্তু তাহাতে তোমার পুত্র সম্মত হইলেন না। এক্ষণে আমার ভ্রাতার সহিত তোমার সেই পুত্রের ঘোরতর দ্বন্দ্বযুদ্ধ হইতেছে।
হিড়িম্বার এই কথা শুনিবামাত্র যুধিষ্ঠির অর্জ্জুন নকুল ও সহদেব তৎক্ষণাৎ ভীমসমীপে উপস্থিত হইলেন। তাঁহাকে দীর্ঘযুদ্ধে কিছু ক্লান্ত দেখিয়া উত্তেজনার্থ অর্জ্জুন বলিলেন—
হে আর্য্য! তোমার যদি শ্রান্তিবোধ হইয়া থাকে, ত বল, আমি তোমার সহায়তা করি।
ভীম ইহাতে দ্বিগুণ রোষাবিষ্ট হইয়া বলিলেন—