পাতা:কুরু পাণ্ডব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৪
কুরু পাণ্ডব

করিতে এই স্থানে উপস্থিত হইলেন। পাণ্ডবদিগকে একত্র দেখিয়া দ্রুতগমনে অগ্রসর হইয়া তাঁহারা যুধিষ্ঠিরাদি ভ্রাতৃগণকে যথাযােগ্য সম্ভাষণ করিলে সকলের আনন্দের আর সীমা রহিল না। তখন যুধিষ্ঠির কুশলজিজ্ঞাসান্তে প্রশ্ন করিলেন—

 হে বাসুদেব! ছদ্মবেশী আমাদিগকে তােমরা কি রূপে জ্ঞাত হইলে?

 কৃষ্ণ হাস্য সহকারে উত্তর করিলেন—

 রাজন! অগ্নি প্রচ্ছন্ন থাকিলেও অনায়াসেই পরিজ্ঞাত হয়। পাণ্ডব ব্যতীত কোন্ মনুষ্য এইরূপ পরাক্রম প্রদর্শন করিতে পারে? হে কুরুশ্রেষ্ঠ! আমাদের ভাগ্যবলে ধার্ত্তরাষ্ট্রগণের দুরভিসন্ধি ব্যর্থ হইয়াছে এবং তােমরা জতুগৃহ হইতে পরিত্রাণ পাইয়ছি। তােমাদের হতপ্রায় মঙ্গল পুনর্ব্বার সমুজ্জ্বল হউক। এক্ষণে, অনুমতি কর, আমরা শিবিরে প্রতিগমন করি।

 এই বলিয়া ভ্রাতৃদ্বয় প্রস্থান করিলেন।

 পাণ্ডবগণ যখন কৃষ্ণাকে লইয়া সভাস্থল হইতে চলিয়া আসিয়াছিলেন, তখন পরিচয় পাইবার উদ্দেশে ধৃষ্টদ্যুম্ন অলক্ষিতভাবে তাঁহাদিগকে অনুসরণ করেন এবং ভার্গবালয়ে তাঁহাদিগকে প্রবেশ করিতে দেখিয়া তিনি নিকটবর্ত্তী নিভৃত স্থানে লুক্কায়িত থাকেন। ঐ স্থান হইতে কথোপকথনের কিয়দংশ শুনিতে পাইয়া তিনি পিতার নিকট সমস্ত বৃত্তান্ত নিবেদন করিবার জন্য সত্বর রাজসভায় প্রত্যাগমন করিলেন।

 কন্যাকে কতিপয় অজ্ঞাতকুলশীল ব্রাহ্মণতনয়ের সহিত