পাতা:কুরু পাণ্ডব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮
কুরু পাণ্ডব

 এবিষয়ে নানারূপ কথােপকথন হইতেছে, এমন সময়ে মহর্ষি দ্বৈপায়ন তথায় উপস্থিত হইলেন। তাঁহাকে দেখিয়া দ্রুপদাদি পাঞ্চলগণ এবং যুধিষ্ঠিরপ্রমুখ পাণ্ডবগণ গাত্রোত্থানপূর্ব্বক ভক্তিভরে অভিবাদন করিলেন।

 ব্যাসদেব সমস্ত অবস্থা অবগত হইয়া সকলকে আশ্বাস প্রদানপূর্ব্বক দ্রুপদকে একান্তে লইয়া দেশকাল ও অবস্থাভেদে ধর্ম্মের বিভিন্ন গতি সম্বন্ধীয় নিগূঢ় তত্ত্বসকল সুস্পষ্টরূপে বুঝাইয়া দিলেন।

 অনন্তর দ্রুপদরাজ সভায় উপস্থিত হইয়া সকলের সমক্ষে কহিলেন—

 পাণ্ডবগণ বিধিপূর্ব্বক কৃষ্ণাকে বিবাহ করুন, আমার কন্যা তাঁহাদের নিমিত্তই জন্মগ্রহণ করিয়াছেন।

 বিবাহব্যাপার সমাধানান্তে দ্রুপদরাজ জামাতাদিগকে বহুবিধ ধন, মহোন্নত হস্তী, বস্ত্রালঙ্কারবিভূষিত দাসী ও অশ্বচতুষ্টয়যোজিত সুবর্ণময় রথ প্রদান করিলেন। অভ্যাগতবৃন্দকেও পৃথক্‌ পৃথক্ ধন ও মন্থমূল্য পরিচ্ছদাদি বিতরণপূর্ব্বক বিদায় করা হইল।

 পাণ্ডবগণ সেই দেবদুর্লভ স্ত্রীরত্ন লাভ করিয়া পরম সুখে পাঞ্চালরাজ্যে কালযাপন করিতে লাগিলেন। পাঞ্চাল ও পাণ্ডবগণ পরস্পরকে সহায় পাইয়া শত্রুভয় হইতে মুক্ত হইলেন। পুরবাসিগণ সর্ব্বদাই কুন্তীর নাম সঙ্কীর্ত্তনপূর্ব্বক চরণবন্দন করিতেন।

 এদিকে চরের দ্বারা হস্তিনাপুরে সংবাদ পৌঁছিল যে