পাতা:কুরু পাণ্ডব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কুরু পাণ্ডব
৪৫

যুধিষ্ঠিরের নিতান্ত বশম্বদ এবং এই ইন্দ্রযজ্ঞসদৃশ মহাযজ্ঞ নিরীক্ষণে আমি অমর্ষভরে দগ্ধ হইতেছি।

 শকুনি দুর্য্যোধনকে সান্ত্বনা দিয়া কহিলেন—

 হে দুর্যোধন! পাণ্ডবগণ তােমারই ন্যায় রাজ্যার্দ্ধ প্রাপ্ত হইয়া নিজ চেষ্টায় তাহা বর্দ্ধিত করিয়াছে, ইহাতে পরিবেদনার বিষয় কি আছে, বরং ইহাতে আশ্বাসের যথেষ্ট কারণ বর্ত্তমান। তুমিও বীর, তুমিও সহায়-সম্পন্ন, তুমিই বা কেন অখণ্ড ভূমণ্ডল জয় করিতে সক্ষম হইবে না?

 তখন দুর্য্যোধন কিঞ্চিৎ আশ্বস্ত হইয়া কহিলেন—

 হে রাজন্! তুমি যদি অনুমতি কর, আমি তােমাকে এবং অন্যান্য সুহৃদ্‌বর্গকে সহায় করিয়া এখনই পাণ্ডবদিগকে পরাজয় করি।

 দুর্য্যোধনের আগ্রহাতিশয় দেখিয়া সুবলাত্মজ শকুনি ঈষৎ হাস্য সহকারে কহিলেন—

 হে রাজন! সমিত্র পাণ্ডবগণ একত্র হইলে তাঁহারা সম্মুখসমরে দেবগণেরও অজেয়, অতএব একটু বিবেচনাপূর্ব্বক কার্য্য করিতে হইবে। যে উপায়ে যুধিষ্ঠিরকে পরাস্ত করা সম্ভব, তাহাই অবলম্বন করা আবশ্যক।

 এই কথায় দুর্য্যোধন আহ্লাদে উচ্ছ্বসিত হইয়া বলিয়া উঠিলেন—

 তুমি যে উপায় বিধান করিবে, আমি ও আমার সহায়বর্গ তাহারই অনুষ্ঠান করিব।

 তখন ধুর্ত্ত শকুনি বলিতে লাগিলেন—