পাতা:কুরু পাণ্ডব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫২
কুরু পাণ্ডব
[৪

সফলতা লাভ করিবে ভাবিয়াছ? আইস, আমার অক্ষয় কোষ এবং রাশীকৃত হিরণ্য পণ রাখিলাম।

 এইবারও শকুনি অক্ষক্ষেপমাত্র তাহা জয় করিয়া লইলেন।

 যুধিষ্ঠির দৈবপরিবর্ত্তনের প্রতি আশাযুক্ত হইয়া এক পরাজয়জনিত লজ্জায় উত্তেজিত হইয়া উত্তরোত্তর পণ বৃদ্ধি করিতে আরম্ভ করিলেন, রথ, গজ, অশ্ব, দাস, দাসী এবং অবশেষে শ্রেষ্ঠরথী ও যােদ্ধৃগণকে একে একে পণ রাখিলেন, কিন্তু কৃতবৈর দুরাত্মা শকুনি স্বনির্ম্মিত অভ্যস্ত অক্ষের উপর সম্পূর্ণ প্রভুত্ববশত ছলনাক্রমে সেই সকলই অপহরণ করিল।

 সেই সর্ব্বনাশিনী দ্যূতক্রীড়া এইরূপ ভয়াবহ আকার ধারণ করিলে বিদুর আর মৌন না থাকিতে পারিয়া বলিয়া উঠিলেন—

 মহারাজ! মুমূর্ষু ব্যক্তির যেরূপ ঔষধ সেবনে প্রবৃত্তি হয় না, আপনারও সম্ভবত সেইরূপ আমার উপদেশবাক্যে অভিরুচি হইবে না, তথাপি যাহা বলি, একবার শ্রবণ করুন। আপনি পাণ্ডবগণের ধনলাভের নিমিত্ত এ বিপদের অবতারণা করিতেছেন, তদপেক্ষা ন্যায়ব্যবহার দ্বারা স্বয়ং পাণ্ডবগণকে লাভ করুন। সৌবলের কপটক্রীড়া বিলক্ষণ অবগত আছি, অতএব তাঁহাকে স্বস্থানে প্রস্থানের অনুমতি প্রদান করুন।

 ধৃতরাষ্ট্র কিংকর্ত্তব্যবিমূঢ় হইয়া কোন কথাই কহিলেন না।

 শকুনি বলিলেন―হে যুধিষ্ঠির! তুমি ত পাণ্ডবগণের