তখন ইঁহারাও অক্ষবলে শকুনির বশীভূত হইলেন।
পরিশেষে ক্ষোভে জ্ঞানশূন্য হইয়া যুধিষ্ঠির নিজেকে পণ স্বরূপ অর্পণ করিয়া সকলে মিলিয়া দাসত্বশৃঙ্খলে বদ্ধ হইলেন।
ইহাতেও তৃপ্ত না হইয়া নৃশংস দুরাত্মা শকুনি পুনরায় বলিতে লাগিলেন―
দেখিতেছি প্রমত্ত ব্যক্তি নিতান্তই গর্ত্তমধ্যে পতিত হয়। হে ধর্ম্মরাজ! তুমি পাণ্ডবশ্রেষ্ঠ, তোমাকে নমস্কার। দেখিতেছি দ্যূতাসক্ত ব্যক্তি যে সকল প্রলাপ কহে, তাহা স্বপ্নেও কল্পনা করা কঠিন। হে রাজন্! তােমার প্রণয়িনী দ্রৌপদী থাকিতে তুমি নিজেকে কি বলিয়া বদ্ধ করিলে? অন্যান্য সম্পত্তি থাকিতে নিজেকে পণ রাখা মূঢ়ের কর্ম্ম। হে প্রমত্ত! আমি তোমাকে পণ রাখিতেছি, তুমি কৃষ্ণাকে পণ রাখিয়া আপনাকে মুক্ত কর।
যুধিষ্ঠির কহিলেন―হে শকুনে! যিনি সুশীলা প্রিয়বাদিনী এবং লক্ষ্মীস্বরূপিণী সেই সর্ব্বাঙ্গসুন্দরী দ্রৌপদীকেই আমি পণ রাখিলাম।
ধর্ম্মরাজের মুখে এই প্রলাপবাক্য শ্রবণ করিবামাত্র সভাসদ্গণের ধিক্কারে সভা ক্ষুব্ধ হইয়া উঠিল। ভূপতিগণ শােকসাগরে নিমগ্ন হইলেন। ভীষ্ম দ্রোণ কৃপ প্রভৃতি মহাত্মাদের কলেবর হইতে ঘর্ম্মবারি বিনির্গত হইতে লাগিল। বিদুর মস্তক ধারণপূর্ব্বক ঘন ঘন শ্বাস পরিত্যাগ করিয়া অচেতনের ন্যায় অধােমুখ হইয়া রহিলেন। পুত্রের এই