পাতা:কুরু পাণ্ডব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৪
কুরু পাণ্ডব
[৫

করিলে সকলে কহিবেন যে, পাণ্ডবগণ আমাদিগকে দ্বৈতবনে পরিত্যাগ করিয়া কোথায় গিয়াছেন, আমরা তাহার কিছুই জানি না।

 পাণ্ডবগণ কেবলমাত্র অস্ত্রশস্ত্র গ্রহণ করিয়া পাদচারে মৎস্য-রাজ্যাভিমুখে চলিতে লাগিলেন। কালিন্দী নদীর দক্ষিণ তীর অবলম্বনপূর্ব্বক কখনও গিরিদুর্গ কখনও বনদুর্গ আশ্রয় করিয়া পাঞ্চালদেশের উত্তর দিয়া ক্রমশ মৎস্যদেশে প্রবিষ্ট হইলেন। পথের অবস্থা ও চতুর্দ্দিক্‌স্থিত ক্ষেত্র দেখিয়া দ্রৌপদী বলিতে লাগিলেন—

 হে ধর্ম্মরাজ! স্পষ্টই বােধ হইতেছে যে এখনও বিরাটনগরী বহুদূরে; আমিও সাতিশয় পরিশ্রান্তা; অতএব আজ রাত্রি এখানেই অবস্থান করা যাক।

 যুধিষ্ঠির কহিলেন—হে অর্জ্জুন! তুমি যত্নসহকারে কৃষ্ণাকে বহন কর। যখন অরণ্যের আশ্রয় অতিক্রম করিয়া আসিয়াছি, তখন একেবারে রাজধানীতে গিয়া অবস্থিতি করাই ভাল।

 তখন গজরাজবিক্রম অর্জ্জুন পাঞ্চালীকে গ্রহণ করিয়া দ্রুতপদসঞ্চারে গমনপূর্ব্বক তাঁহাকে বিরাট-রাজধানীর সমীপে অবতারিত করিলেন। অনন্তর নগরপ্রবেশের প্রণালীসম্বন্ধে সকলে পরামর্শ করিতে লাগিলেন।

 যুধিষ্ঠির কহিলেন―হে ভ্রাতৃগণ! আমরা যে সকল ছদ্মবেশ ধারণ করিবার সঙ্কল্প করিয়াছি, তাহাতে আমাদের সঙ্গে এই সকল অস্ত্রশস্ত্র লইলে চলিবে না, বিশেষতঃ অর্জ্জুনের