অসাধারণ সৌন্দর্য্য দেখিয়া কৌতূহলীচিত্তে ক্রমাগত জিজ্ঞাসা করিতে লাগিল―
তুমি কে, কোথায় যাইবে, তোমার অভিলাষ কি? দ্রোপদী সকলকে কহিলেন—
আমি সৈরিন্ধ্রী, আমাকে কেহ কার্য্যে নিযুক্ত করিলে আমি তাহা সুচারুরূপে সম্পন্ন করিব।
বিরাটমহিষী সুদেষ্ণা প্রাসাদের উপর হইতে ইতস্তত দৃষ্টিপাত করিতেছিলেন, ইত্যবসরে অনাথার ন্যায় দীনবসনা অথচ অমানুষরূপধারিণী দ্রৌপদী তাঁহার নয়নগোচর হইলেন।
সুদেষ্ণা তাঁহাকে নিকটে আহ্বানপূর্ব্বক কহিলেন—
ভদ্রে! তুমি কে এবং অভিলাষই বা কি?
দ্রৌপদী পূর্ব্ববৎ সৈরিন্ধ্রীর কর্ম্মপ্রার্থনা জ্ঞাপন করিলেন। তখন রাণী কহিলেন—
হে ভাবিনি! আমি তোমাকে সখীরূপে লাভ করিয়া পরম প্রীত হইতাম, কিন্তু তোমার যেরূপ সৌন্দর্য্য তাহাতে ভয় হয়, পাছে রাজপুরুষগণ তোমার নিমিত্ত চঞ্চল হইয়া কোন অনিষ্ট ঘটায়।
দ্রৌপদী কহিলেন—হে মহিষি! আমি প্রবল প্রতাপান্বিত গন্ধর্ব্বের পত্নী; অতএব আমাকে কেহ অপমান করিতে সক্ষম হইবে না; কারণ ইহা জ্ঞাত হইলে কোন্ রাজপুরুষ আমার সম্বন্ধে অযথা ভাব মনে পোষণ করিতে সাহসী হইবেন? অতএব আপনি নির্ভয়ে আমাকে আশ্রয় প্রদান করিতে পারেন, আমি পূর্ব্বে যদুকুলশ্রেষ্ঠ কৃষ্ণের