পাতা:কৃষিতত্ত্ব - নীলকমল লাহিড়ী.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষিতত্ত্ব । ನಿ বৈশাখ মাস হইতে আষাঢ় মাস পৰ্য্যন্ত বপনের সময় । যে ক্ষেত্রে এই সময়ে জল বদ্ধ না হয়, সেই স্থানে বপন করিবে । পুরাতন গাছের গ্ৰন্থি ( গাইট ) হইতে শিকড় বহির্গত হয়। সেই শিকড় সহ গ্ৰন্থি কৰ্ত্তন করিয়া রোপণ করিবে। ঐ গ্রস্থির দুই দিকে এক এক ইঞ্চি ত্যাগ করিয়া কৰ্ত্তন করা কীৰ্ত্তব্য । ক্ষেত্রে উত্তমরূপ তিন বাৱ চাষ দিয়া ঘাস মুথ্যাদি বাছিয়া ঢেলা ভাঙ্গিয়া সমতল করিতে হইবে । কৰ্ষণ কালে মৃত্তিক যত অধিক গভীর করিয়া খনন এবং চুর্ণবৎ করিতে পরিবে, ততই আলু মোটা এবং লম্বা হইবে। ক্ষেত্ৰ প্ৰস্তুত হইলে শ্রেণি করিয়া রোপণ করিবে । তিন তিন ফুট ব্যবধানে এক এক শ্রেণি, এক এক শ্রেণিতে তিন তিন ফুট ব্যবধানে উক্তরূপে কৰ্ত্তিত গ্ৰন্থি রোপণ করিতে হয়। ক্ষেত্রে রস না থাকিলে জল দেওয়া কৰ্ত্তব্য এবং সময়ে সময়ে নিড়াইয়া ক্ষেত্র পরিষ্কার রাখা আবশ্যক। ঐ গ্রস্থি হইতে হোক বহির্গত হইয়া ক্ষেত্রে লতাইতে থাকে। লতার গ্ৰন্থিয় গ্ৰন্থিয় আলু উৎপন্ন হইয়া মৃত্তিকার নীচে প্রবিষ্ট হয়। আলু উৎপন্ন হইলে যে যে স্থানে আলু হয়, সেই সেই স্থানে অর্থাৎ চতুষ্পাশ্বের মৃত্তিক অঙ্গুলী অথবা বাঁশের শলা দিয়া খনন করিয়া দিতে হয়, নতুবা আলু দীর্ঘ ও মোটা হয় না । রোপণের অগ্র পশ্চাৎ অনুসারে পৌষ মাস হইতে বৈশাখ মাস আলু তুলিবার যোগ্য হয়। যখন যে আলু তুলিবার যোগ্য হয়, তাহা বিবেচনা করিয়া ক্রমে তুলিয়া লইবে । আলু রক্ত ও শ্বেত দুই প্রকার হয়। রোপণাদি প্রক্রিয়া একই প্রকার। শ্বেত্ত আলুর মূল অর্থাৎ যে গ্ৰন্থিতে আলু না হইয়া কেবল শিকড় হয়, তাহা বিষাক্ত। উহা উদারস্থ হইলে মৃত্যু হইবার সম্ভাবনা। ইহার নিরামিষ তরকারী হয়। কাচা আলু মিষ্ট লাগে। এক বিঘা ভূমিতে অনু্যন আট মণ উৎপন্ন হয়।